করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকাতে বিশ্বের ১৩২টি উন্নয়নশীল দেশের ২৭০ কোটি দরিদ্র জনগণকে সাময়িক মৌলিক উপার্জনের সমান আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দরিদ্রদের মৌলিক উপার্জন নিশ্চিত করা গেলে তাদেরকে ঘরের বাইরে কাজে যেতে হবে না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃইউএনডিপি’র প্রতিবেদনে তিনটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দরিদ্রদের বর্তমান গড় আয়ের সমান অর্থ প্রদান, দেশের জীবনযাত্রা মাঝামাঝি অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যে কোনও অংকের অর্থ প্রদান বা দেশের যে কোনও স্থানেই বসবাস করুন না কেন তাদের সমান অর্থ প্রদান করা। ইউএনডিপি’র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অ্যাচিম স্টেইনার বলেন, ‘অভূতপূর্ব সময়ে বৈপ্লবিক কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক উদ্যোগ নিতেই হয়। এমনই একটি উদ্যোগ হলো দরিদ্র মানুষের সাময়িক সময়ের জন্য উপার্জনের সমান অর্থ সরবরাহ করা।’
তিনি আরও বলেন, আর্থিক প্রণোদনা শুধু বড় বড় খাত বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে রক্ষার জন্য হতে পারে না। আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে দরিদ্রদের মৌলিক আয় নিশ্চিত করার একটি উপায়ের কথাও তুলে ধরা হয়েছে ইউএনডিপি’র প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, ঋণ পরিশোধে দেশগুলো যে অর্থ ব্যয় করতো তা এই উদ্যোগে কাজে লাগানো যেতে পারে।
উন্নত দেশগুলোর জোট জি-২০ এই বছরের এপ্রিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, করোনামহামারির কারণে দরিদ্র দেশগুলোর কাছ থেকে এই বছর ঋণ আদায় স্থগিত রাখবে। যদিও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস দরিদ্র ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর ঋণ মওকুফের আহ্বান জানিয়েছে।
জি-২০ দেশগুলোর ঋণ পরিশোধ স্থগিত রাখার উদ্যোগ বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত ৭৩ টি দেশের মধ্যে মাত্র ৪২টি এতে অংশগ্রহণে সম্মত হয়েছে। এতে মাত্র ৫৩০ কোটি ডলার সাশ্রয় হয়েছে। যদিও জি-২০ এর প্রাথমিক প্রতিশ্রুতি ছিল ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার সাশ্রয়।