বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সুযোগ সন্ধানী কতিপয় চিহিৃত সন্ত্রাসী, টোকাই শ্রেণির দুর্বৃত্বরা চারিদিকে লুটপাট করে ছাত্র-জনতার বিজয়কে কুলষিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এটা পরাজিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গোপন এজেন্ট। তাই অবিলম্বে খুলনা অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানকালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। এসময়ে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন স্মারকলিপি গ্রহন করেন।
তিনি খুলনার সকল সম্প্রদায়কে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার আহবান জানিয়ে দু®কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস্ত করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের ন্যায় খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় বসবাসরত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যুগযুগ ধরে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে পারষ্পারিক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনার পদত্যাগের কয়েকঘন্টা পরেই ১০টি জেলার বিভিন্ন মন্দিরে হামলা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারছি, সব সামাজিক দুর্বৃত্বরা যে কোনো সময় সংখ্যালঘু এলাকায় হামলা চালাতে পারে। সকল রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ দ্রুত প্রশাসিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট খুলনা জেলার আহবায়ক ডাঃ প্রদীপ দেবনাথ, মহানগর আহবায়ক শিক্ষক নিত্যানন্দ মন্ডল, তপন কুমার ঘোষ, সুজনা জলি, কৌশল্যা রায়, পরিতোষ রায়, অমিত মল্লিক, রাজু দাস, মধাব পাল, শংকর দে লখাই, রতন মল্লিক, অমিত কুমার দাস, শিব শংকর পাল, গৌর বিশ্বাস, মিঠুন বৈদ্য, দ্বিপজয় নারায়ন, দেবাশিষ দাস ও কমলেশ ঘরামী প্রমুখ।