খুলনা অফিসঃখুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সকল ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদকাসক্তি ইত্যাদি শান্তির জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই এসব কার্যকলাপ থেকে সমাজকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করতে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং ইসলাম সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে না। কিন্তু কিছু কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামের নাম নিয়ে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এক সময় পাকিস্তানীরাও ধর্মের নাম করে ইসলামের লেবাসে আমাদেরকে শোষণ করতো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন্ প্রতিবাদী কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় ঘটান।
সিটি মেয়র আজ শনিবার সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন-খুলনা আয়োজিত আন্ত:ধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদারকরণের লক্ষ্যে ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ-ই অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের পথ’’ শীর্ষক স্লোগান নিয়ে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: ইউসুফ আলী’র সভাপতিত্বে সংলাপে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মো: জাহাঙ্গীর হোসেন ও খুলনা সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলাম। স্বাগত বক্তৃতা করেন ইসালামিক ফাউন্ডেশন-খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক শাহিন বিন জামান এবং মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল কুদ্দুস। অন্যান্যের মধ্যে বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা নাসির উদ্দিন কাশেমী, রূপসা মহাশ্মসান মন্দিরের পুরোহিত সুরেশ চক্রবর্তী, খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশন-খুলনার সাধারণ সম্পাদক তুষার দোবে বাবলু প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সংলাপে বিভিন্ন ধর্মের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে সিটি মেয়র জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে খুলনা হাজ্বী কল্যাণ ফাউন্ডেশন আয়োজিত হজ্ব প্রশিক্ষণ কর্মশালা ২০১৯ ও বিশেষ দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ও ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষক আলহাজ্ব লোকমান হোসেন মিয়া। স্বাগত বক্তৃতা করেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ মুহাম্মদ সাহেব আলী এবং সঞ্চালনা করেন পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন হাওলাদার। সার্বিক সহযোগিতা করেন আহবায়ক আলহাজ্ব কাজী দেলোয়ার হোসেন ও আলহাজ্ব এস এম খালিদ হোসেন পিউ।