বিদেশগামীদের করোনা টেস্টের ফি দেড় হাজার টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ১০ দিন আগে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
৩০০ টাকার ফি কবে বাস্তবায়ন হবে তা-ও বলতে পারছে না চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস।
সচিব ঘোষণা দিলেও মূলত অফিসিয়ালি কাগজপত্র না পাওয়ায় ৩০০ টাকায় ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারছেন না তারা।
গত ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা টেস্টের ফি দেড় হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান।
সচিবের এ ঘোষণার ১০ দিন পার হতে চললেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিদেশযাত্রীদের কাছ থেকে করোনা টেস্টের ফি দেড় হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসে ৯০০ জন বিদেশগামী যাত্রী নমুনা দেন। তারা আগের দিন দেড় হাজার টাকা ফি দিয়ে সিভিল সার্জন অফিসে রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
লোহাগাড়া থেকে নমুনা দিতে আসা বিদেশগামী যাত্রী মো. আবদুল কাইয়ুম বাংলানিউজকে বলেন, দেশের রেমিট্যান্স ঠিক রেখেছি আমরা। অথচ আমাদের প্রতি পদে পদে অবহেলা করা হচ্ছে। প্রায় এক হাজার যাত্রীর জন্য একটি বুথ, তা-ও আবার নমুনা নেওয়া হচ্ছে খোলা মাঠে। সকাল সাড়ে ৭টায় ফরম জমা দিয়েও দুপুর ১২টায় নমুনা দিতে পেরেছি।
তিনি বলেন, গতকাল রেজিস্ট্রশন করেছি দেড় হাজার টাকা দিয়ে। এর সঙ্গে আরও ১৫ টাকা দিতে হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিবের ৩০০ টাকার ঘোষণা-তো এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। কবে বাস্তবায়ন হবে জানতে চাইলে দায়িত্বরতরা কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, দাপ্তরিক কাগজপত্র না পাওয়ায় এখনও বিদেশগামী যাত্রীদের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা করোনা টেস্টের ফি নেওয়া হচ্ছে। কাগজপত্র যেদিন পাবে, সেদিন থেকে ৩০০ টাকা ফি নেওয়া হবে।