বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। বর্তমান তাবেদার লুটেরা সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন হবে না। চলমান আন্দোলনের মাধ্যমেই নিশিরাতের সরকার পালাতে বাধ্য হবে। আগামীর বাংলাদেশ বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাংলাদেশ। মাফিয়া সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির একজন নেতাকর্মীও ঘরে ফিরে যাবে না।
শুক্রবার (১২ মে) সকাল ১০টায় খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে খুলনা সদর থানা বিএনপির কর্মীসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। থানা সাংগঠনিক টীম প্রধান চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন এর সভাপতিত্বে হাসানুর রশিদ মিরাজ ও শেখ সাদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় বক্তারা আরো বলেন, বিনাভোটের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় শেষ। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে, কখন কি হয় বলা যায় না। অবিলম্বে পদত্যাগ না করলে করুন পরিনতি হবে। পুলিশ ও শাসক দলের ক্যাডার দিয়ে গনতন্ত্র মুক্তিকামী বিএনপির নেতাকর্মীদের আর দমিয়ে রাখা যাবে না। দেশের জনগণ এদেরকে প্রতিরোধ করতে মাঠে নেমে পড়েছে।
আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম। সভার উদ্বোধন করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা। প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, বিশেষ বক্তা ছিলেন যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম জহীর। সভায় বক্তব্য রাখেন কে এম হুমায়ুন কবীর, বিএম তানভীরুল আজম, আব্দুর রাজ্জাক, মোল্লা ফরিদ আহমেদ ও খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক।
কর্মীসভা শেষে পবিত্র জুম্মার নামাজ ও মধ্যহ্ন ভোজের বিরতী দেয়া হয়।
বিরতী শেষে বেলা আড়াইটায় দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বেগম রেহানা ঈসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে খুলনা সদর থানার ৯টি ওয়ার্ডের ২৭৯ জন কাউন্সিলরের ভোট শুরু হয়। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ি টানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলে। ভোট শেষে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে ভোটের ফলাফলে আহবায়ক পদে ১৬৩ ভোট পেয়ে কেএম হুমায়ুন কবীর নির্বাচিত হয়। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন বিএম তানভীরুল আজম। তিনি পেয়েছেন ৮৮ ভোট। সদস্য পদে মোল্লা ফরিদ আহমেদ ১৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক পেয়েছেন ৯৭ ভোট। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এড. নুরুল হাসান রুবা, এড. মোল্লা মাসুম রশীদ, এড. তৌহিদুর রহমান তুষার, মিজানুর রহমান মিলটন, জাকির ইকবাল বাপ্পি, শরিফুল ইসলাম টিপু, শাহানাজ সরোয়ার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#