খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে মঙ্গলবার রাতে মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের বাড়ির আশপাশে ঘন্টাব্যাপী সাদা পোষাকের পুলিশ অবস্থান এবং স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানপাটের মালিকদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন। তারা বলেন, অতি সম্প্রতি খুলনায় কিছুসংখ্যক পুলিশের বৈরী আচরণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন বিঘ্নিত হচ্ছে। অতি উৎসাহী এসব পুলিশ সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাঁরা পুরোনো ওয়ারেন্ট তামিল করার নামে অহেতুক বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযানের নামে পুলিশ সদস্যরা পরিবারের নারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন যা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম’র বিরুদ্ধে কোন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তার বাড়ির সামনে ঘন্টার বেশি সময় অবস্থান করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানো মোটেই কাম্য নয়। পুলিশ সদস্যরা যে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারি সেটা বেমালুম ভুলে গিয়ে একটি গোষ্ঠির আজ্ঞাবহ হয়ে যারপর নাই অনিয়ম ও অন্যায় করছেন। নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে পুলিশ প্রশাসনকে এ ধরনের হয়রানি করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারি হেলাল, সাবেক ছাত্রনেতা ও খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মানিত সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. এস এম শফিকুল আলম মনা, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির, কাজী মোঃ রাশেদ, স. ম. আ রহমান, সৈয়দা রেহেনা ইসা, এড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ প্রমূখ।