নিখোঁজ শিশু সন্তানকে খুঁজে দেয়ার নামে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে সিআইডির একটি বিশেষ টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর নাম- মো. সোহাগ দেওয়ান (৩৭)। আসামি দেওয়ানের বাড়ি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার সবুজবাগ এলাকায়। ওই নারীর বাড়িও একই এলাকায়।
এ সম্পর্কে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষন ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আসামীর সম্ভাব্য লুকিয়ে থাকার সকল স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে সিআইডির একটি চৌকস দল আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে। মামলা হলেও আসামী দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
সিআইডি সূত্র জানায়, ওই নারীর সন্তানের জন্মের দুই মাসের মধ্যেই তার স্বামী সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায়। সন্তানকে ফিরে পেতে ওই নারীএকটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেন। প্রকাশিত বিজ্ঞাপন থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন দেওয়ান। নিজেকে ক্ষমতাবান আর উচ্চ পর্যায়ে ভালো লিংক আছে বলে নিখোঁজ শিশুটিকে খুঁজে দেওয়ার নাম করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় দেওয়ান। পরে সন্তানকে না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে আসামি তার সোনাডাঙ্গার বাড়িতে ডেকে নিয়ে সরবতের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে দেওয়ান ও তার সঙ্গীরা। পরে এই ভিডিও দেখিয়ে আসামীরা ওই নারীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই নারী খুলনা থেকে ঢাকায় পালান। ঢাকাতেও দেওয়ান ও তার সঙ্গিদের কাছে ধর্ষিত হন ওই নারী। এই ঘটনায় রাজধানীর মুগদা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এ একটি মামলা করেন ওই নারী। বিষয়টি সিআইডির নজরে আসলে, সিআইডি ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এই ঘটনায় ঢাকার মুগদা থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(৩)/১০/৩০ ধারায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী নারী।