এক সপ্তাহেও কাউকে চিনতে পারছেন না সন্ত্রাসী হামলায় আহত প্রবীন সাংবাদিক একরামুল কবির। মাথার খুলি আলাদা করে রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পার হলেই সেটি পুন:স্থাপিত হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অনেকটা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন তিনি।
এদিকে, গত সোমবার এ ঘটনার পর থানায় মামলা হলে দু’জন গ্রেফতার হলেও প্রধান আসামী এখনও আছেন বহাল তবিয়তে। প্রবীণ ওই সাংবাদিককে নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরাও অনেকটা অসহায়।
নগরের দৌলতপুরে ওই সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয় গত সোমবার। হামলার পর তিনি অজ্ঞান অবস্থায় খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপাওে গত মঙ্গলবার রাতে আহত সাংবাদিকের স্ত্রী কেএমপির দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। হামলার সাথে জড়িত দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আহত সাংবাদিক ইকরামুল কবির আমার সংবাদের খুলনা প্রতিনিধি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে দৌলতপুরের দেয়ানাস্থ নিজ বাড়িতে অবস্থানকালে কয়েকজন সংঘবদ্ধ দখলবাজ চক্র জমি দখলে যায়। এতে বাঁধা দিলে প্রথমে চলে গেলেও বেলা দুইটার দিকে ওই চক্রটি এসে ইকরামুল কবিরের ওপর হামলা চালায় তারা। প্রথমে তাকে মোবাইলে রিং দিয়ে বাইরে ডাকলেও তিনি বের হওয়া মাত্রই হামলা চালানো হয়। এতে তার মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাকে দ্রæত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকায় রেফার্ড করা হলেও তাকে পরে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী বলেন, সাংবাদিক ইকরামুল কবিরের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের পরই এজাহার নামীয় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।