সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সন্দেহভাজন আসামিদের গণমাধ্যমে হাজির করলে প্রশ্নের জন্ম দেয় | চ্যানেল খুলনা

সন্দেহভাজন আসামিদের গণমাধ্যমে হাজির করলে প্রশ্নের জন্ম দেয়

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই সন্দেহভাজন আসামিদের গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা অনেক প্রশ্নের উদ্রেক হয় বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, এ বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে একটি রায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদনের শুনানিকালে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ কথা বলা হয়।
বিভিন্ন আসামির বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং নিয়ে আদালত বলেন, ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সংগঠিত আলোচিত ঘটনা তদন্তকালীন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার অভিযুক্তদের বিষয়ে এবং তদন্ত সম্পর্কে প্রেস ব্রিফিং করা হয়। কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই গণমাধ্যমের সামনে সন্দেহভাজন আসামিদের হাজির করা হয়, যা অনেক প্রশ্নের উদ্রেক হয়। এ বিষয়ে এ আদালতে একটি রায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

আদালতের মতে, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণিত না হয়, ততক্ষণ বলা যাবে না সে অপরাধী বা অপরাধ করেছে। তদন্ত বা বিচার পর্যায়ে এমনভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করা উচিত নয় যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধী।

মামলার অগ্রগতি বা আসামিদের গণমাধ্যমে প্রচারের বিষয়ে আদালত বলেন, মামলার তদন্ত পর্যায়ে তদন্তের অগ্রগতি বা গ্রেফতারদের বিষয়ে গণমাধ্যমে কতটুকু বিষয় প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করা বাঞ্ছনীয়। এ নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হলো।

মামলার তদন্ত পর্যায়ে, তদন্তের অগ্রগতি বা গ্রেফতার হওয়া আসামিদের বিষয়ে গণমাধ্যমে কতটুকু প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) বলা হয়েছে।

রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুই শর্তে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন।

আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, বর্তমান আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন গণমাধ্যমের সম্মুখিন হন। মিন্নি দোষ স্বীকার করেছেন মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা শুধু অযাচিত, অনাকাঙ্খিতই নয় বরং ন্যায় নীতি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্তের পরিপন্থী। পরিস্থিতি ও বাস্তবতা যাই হোক না কেন, পুলিশ সুপারের মত দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের বক্তব্য জনমনে নানান প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে।

আদালত বলেন, এক দিকে যেমন জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন তেমননি তিনি তার দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন, দুঃখজনক এবং হতাশাজনক। উচ্চ পর্যায়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তার নিকট থেকে এ ধরনের কার্য প্রত্যাশিত এবং কাম্য নয়। ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে আরও সতর্কতা ও পেশাদারিত্বের পরিচায় দেবেন, আদালতের এটাই কাম্য। মামলাটি তদন্ত কার্য যেহেতু চলমান সে কারণে এ মুর্হূতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে আদালত বিরত থাকছে। তবে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক সময়মত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

https://channelkhulna.tv/

জাতীয় আরও সংবাদ

কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

সরকারি সফর শেষে কাতার থেকে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান

জার্মানি সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুক্রবার

স্মার্ট ভূমিসেবা বাস্তবায়নে গতি আনতে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে

ঢাকার উদ্দেশে মিউনিখ ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী

জেলেনস্কির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
উপদেষ্টা সম্পাদক: এস এম নুর হাসান জনি
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: শেখ মশিউর রহমান
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
ঢাকা অফিসঃ ৬৬৪/এ, খিলগাও, ঢাকা-১২১৯।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্তির জন্য আবেদিত।