সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সপ্তম স্বামীর দায়ের করা মামলায় নীলা এবার জেল হাজতে | চ্যানেল খুলনা

সপ্তম স্বামীর দায়ের করা মামলায় নীলা এবার জেল হাজতে

খুলনার বহুলালোচিত ৮ বিয়ে করা সুলতানা পারভীন নীলা ওরফে বৃষ্টিকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ১৪ নং আদালতে নীলা হাজির হয়ে প্রতারণার মামলায় জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মাইনুল হোসেন তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অপর আসামি তার বড় ভাই শফিকুল আলম বিপ্লবের জামিন মঞ্জুর করেন।

নীলার সাবেক ৭ম স্বামী এম রহমানের দায়ের করা মামলার আইনজীবী ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট ওয়াদুদ শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার সুলতানুল আলম বাদলের মেয়ে সুলতানা পারভীন নীলা।
ডিআইডি ঢাকার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, বহু বিবাহে আসক্ত সুলতানা পারভীন নীলা প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এ পর্যন্ত ৮ এর অধিক পুরুষকে বিয়ে করেন। তার ৭ম স্বামী এম রহমান তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার দায়িত্ব পান ঢাকার সিআইডি। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করেন। আদালত গত ১৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
তিনি বলেন, নীলার বাসার ঠিকানা ঠিক নয়। একেক সময় একেক জনকে একেক পরিচয়ে প্রতারণা করে বিয়ে করে। তাকে নি:স্ব করে আবার অন্য একজনকে বিয়ে করে। এভাবে মোট ৮টি বিয়ে করেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
নীলার একাধিক সাবেক স্বামী বলেন, শারীরিক গঠন ও রূপ-যৌবন-ই মূল সম্পদ নীলার। এটিকে পুঁজি করে তিনি বিবাহের নামে ধণাঢ্য ও পদস্থ কর্মকর্তা, চাকরিজীবীদের ফাঁদে ফেলেছেন। আর হাতিয়ে নিয়েছেন বহু অর্থ-সম্পদ। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনসহ যৌতুক দাবি সংক্রান্ত একাধিক মামলা করে নিঃস্ব করে ছেড়েছেন। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে সম্পর্কের সূত্র ধরে চেক চুরি করে অপর এক নারীর ব্যাংক হিসাব থেকে ১০ লাখ টাকা উত্তোলনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একাধিক অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুলতানা পারভীন নিলা এ পর্যন্ত ৮ এর অধিক বিয়ে করেছেন। বিয়ে করে কিছুদিন পর সেই স্বামীকে ছেড়ে দেয়া এবং তার কাছ থেকে দেনমোহরের টাকাসহ নানা কৌশলে বাড়ি-গাড়ী হাতিয়ে নেয়াই তার ব্যবসা। তার মূল টার্গেট সম্পদশালী, ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ চাকরিজীবী ও প্রবাসী পুরুষ। প্রথমে টার্গেট নিশ্চিত করে তিনি ধীরে ধীরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে নিজ দেহের সৌন্দর্য ও কথামালার মারপ্যাঁচে আটকে ফেলেন টার্গেট পুরুষদের।

অনুসন্ধানীতে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে সুলতানা পারভীনের প্রথম বিয়ে হয় মাদারীপুর জেলার হরিকুমারিয়া গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম শিকদারের জাপান প্রবাসী ছেলে শাহাবউদ্দিন সিকদারের সাথে। নিলার বয়স ছিল তখন ১৫ বছরেরও কম। কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামীর ঘর থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে বেরিয়ে যায় সে। তার উশৃঙ্খল জীবনযাপন ও মালামাল চুরির ঘটনায় শাহাবুদ্দিন শিকদার মাদারীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। যার নং- ৭৩৮, তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৯। যদিও ২০০১ সালে তার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে নীলার।
নীলার দ্বিতীয় বিয়ে হয় ২০০৫ সালের ৬ মে খুলনা মহানগরীর শেরেবাংলা রোডস্থ মোঃ মকবুল হোসেনের ছেলে এসএম মুনির হোসেনের সাথে। তখন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নিজেকে ‘কুমারী’ দাবি করে মুনির হোসেনের সাথে এক লাখ টাকার কাবিননামায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় সে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে নীলার উশৃংখল জীবনযাপন এবং ও উগ্র আচরণের শিকার হন স্বামী মুনির। এক পর্যায়ে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে এ বাড়ি থেকেও বেরিয়ে যান নীলা। এ ঘটনায় একই বছরের ১০ ডিসেম্বর মুনির হোসেন তাকে তালাক দেন। যদিও পরবর্তীতে তার কাছ থেকে অর্থ আদায় করতে সুলতানা পারভীন নীলা ২০০৬ সালে মনির হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করেন।

ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সুলতানা পারভীন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আবারও নিজেকে ‘কুমারী’ দাবি করে ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে নগরীর খালিশপুর ওয়ারলেস ক্রস রোডের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে ঠিকাদার মইনুল আরেফিন বনিকে বিয়ে করেন। তবে, শর্ত থাকে বিয়ের পর নীলা তার আত্মীয়ের মাধ্যমে বনিকে ইতালি নিয়ে যাবে। শর্ত মোতাবেক বিয়ের পর তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে কিছুদিন যেতে না যেতেই নীলার প্রতারণা প্রকাশ পেতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যেও বিচ্ছেদ ঘটে। এ ঘটনায় নীলা নিজেকে কুমারী পরিচয় দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করায় স্বামী শেখ মঈনুল আরেফিন বনি খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে নীলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বনি’র সাথে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় নীলা ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জের ইফতিখার নামে একজনকে বিয়ে করেন। সেখানেও দাম্পত্য জীবন স্থায়ী হয়নি তার। এক পর্যায়ে ইফতেখার আমেরিকায় চলে যান। ২০১২ সালে নীলা বিয়ে করেন বাগেরহাটের বাসিন্দা কামাল হোসেনকে, ২০১৭ সালে ইতালি প্রবাসী মাদারীপুরের মোহাম্মদ আজিমকে, ২০১৮ সালে খুলনার এম রহমানকে এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালে খুলনা মহানগরীর নাজির ঘাট এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মোঃ আব্দুল বাকী’র সঙ্গে তার বিবাহ হয়।

নীলার এক সাবেক স্বামী মোঃ আব্দুল বাকী ঢাকার আদালতে তার বিরুদ্ধে চেক ও টাকা-পয়সা চুরির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন, এছাড়াও সিরাজগঞ্জে অবস্থানকালীন ঢাকার একটি ফ্লাট তার নামে লিখে না দেয়ায় আরও এক স্বামীকে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানো এবং জীবন নামের হুমকি দেন নীলা। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২ মে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়।

তার প্রতারণা ও জালিয়াতিসহ অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে তাকে গ্রেপ্তার এবং কঠোর শাস্তির দাবিতে ২০২১ সালের সোমবার (২২ মার্চ) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মহানগরীর নাজিরঘাট এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মো. আব্দুল বাকী।

https://channelkhulna.tv/

আইন ও অপরাধ আরও সংবাদ

খুলনা সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শম্পা’র সাফল্যগাঁথা কর্মময় জীবন

খুলনায় অবৈধভাবে প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটার প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআইর সার্ভিল্যান্স অভিযান

খুলনায় মানবপাচার চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

ডুমুরিয়ায় ড্রাম ট্রাক ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক ড্রাইভার আটক

পাইকগাছায় অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযানে ৪ জনের কারাদণ্ড

সড়ক দুর্ঘটনার মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
উপদেষ্টা সম্পাদক: এস এম নুর হাসান জনি
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: শেখ মশিউর রহমান
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
ঢাকা অফিসঃ ৬৬৪/এ, খিলগাও, ঢাকা-১২১৯।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্তির জন্য আবেদিত।