১৯৭১ সালের এই দিনে দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, শিল্পী, শিক্ষকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চোখ বেঁধে নির্যাতন ও হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের স্থানীয় দোসররা। পরে তাদের লাশ রাজধানীর রায়েরবাজার, মিরপুরসহ কয়েকটি বধ্যভূমিতে ফেলে দেয়া হয়। সেই থেকে দিনটি শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়েনে সবাইকে স্বনির্ভর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে হবে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির কার্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্বরণে খুলনা বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের সভাপতিত্বকালে কথাগুলো বলেন খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
তিনি আরও বলেন, ৫৩ বছর আগে দেশের স্বাধীনতার লালিত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে দখলদার বাহিনী স্থানীয় কুচক্রীদের সহায়তায় উদীয়মান বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পংগু করার উদ্দেশ্যে একযোগে দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে একটা স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। এটি হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণার মধ্য দিয়ে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও পথ অনুসরণ করে একটি অসা¤প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
সভায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। সভায় জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ‚ত্থানে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। সভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহার করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
সভায় দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল গফার। সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, মীর কায়সেদ আলী, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, এড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, নিজাম-উর রহমান লালু, সাদিকুর রহমান সবুজ, আনোয়ার হোসেন, মজিবর রহমান ফয়েজ, ইউসুফ হারুন মজনু, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, তরিকুল্লাহ খান, এইচ এম আবু সালেক, ইশহাক তালুকদার, আকরাম হোসেন খোকন, কামরান হাচান, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, মহিউদ্দিন টারজান, মিজানুর রহমান খোকন, বাচ্চু মীর, জাহিদ কামাল টিটো, মেহেদী হাসান সোহাগ, মনিরুজ্জামান মনির, এড. ওমর ফারুক, আল বেলাল, ইকবাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, মিজানুজ্জামান তাজ, নাহিদ মোড়ল, কাজী ফজলুল কবির টিটো, শাকিল আহমেদ, গোলাম নবী ডালু, আলমগীর ব্যাপারী, নূরে আব্দুল্লাহ, মোস্তফা জামান মিন্টু, মোহাম্মদ আলী, আব্দুল হাকিম, সৈয়দ গাজী, লিটু পাটোয়ারী, সুলতান মাহমুদ সুমন, কামাল উদ্দিন, মিজানুর রহমান, সেলিম বড় মিয়া, সমীর কুমার সাহা, আবু দাউদ, আবু তালেব, গৌতম দে হারু, সাখাওয়াত হোসেন, মোল্লা সোলাইমান হোসেন, ওহাব শরীফ, ফাহিম আহমেদ রুবেল, মাহমুদ হামাস মুন্না, সালাউদ্দিন সান্নু, এ আর রহমান, কামরুল আলম খোকন, জাফর হাওলাদার, পারভেজ মোড়ল, হাসমত হোসেন, কামরুজ্জামান সিরাজ, খান মো. ফয়সাল, সজল আকন, আসাদ সানা, জামাল হোসেন, তহিদুর রহমান, শামীম রেজা, আবিদম হোসেন, রিপন হাওলাদার, রুহুল আমিন রাসেল, তানভিরুল হুদা লিটন, নজরুল ইসলাম, আতিকুর ইসলাম, মো. আকাশ, সজল, রাজ, এনামুল, পলাশ হোসেন, মোরশেদ, এশারুল প্রমুখ।