সম্মাননা পাগড়ি পেতে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
আগামীকাল শুক্রবার এশার নামাজের পর উম্মুল মাদারিসখ্যাত উপমহাদেশের প্রাচীন ও দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক দ্বীনি মাহফিল ও দস্তারবন্দি সম্মেলন শেষে তাদের সম্মাননা পাগড়ি দেয়া হবে।
এ ছাড়া ওই দিন এশার নামাজের পর বিগত বছরে দাওরায়ে হাদিস সমাপনকারী ছাত্রদের দস্তারে ফজিলত (পাগড়ি) প্রদান করা হবে। এ ক্ষেত্রে পূর্বের বছরগুলোতে ছাত্রদের কাছ থেকে ফি আদায় করা হলেও এবার কোনো প্রকার ফি নেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল ও শিক্ষার্থীদের দস্তারবন্দি সম্মেলন কেন্দ্র করে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দেশের সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ তৌহিদি জনতার মধ্যে বিরাজ করছে খুশির আমেজ।
ওই দিন মাহফিলে বাদ জুমা দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে বিশেষ দিকনির্দেশনামূলক হেদায়েতি বক্তব্য রাখবেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। মাহফিল শেষে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মজলিসে ইদারির প্রধান, মুফতিয়ে আজম বাংলাদেশ আল্লামা মুফতি আবদুচ্ছালাম চাটগামী।
ওই মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখবেন দেশের সুযোগ্য ও সুবিখ্যাত উলামায়ে কেরামবৃন্দ।
দেশের সর্বস্তরের ইসলামপ্রিয় জনসাধারণের প্রতি বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দি সম্মেলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মজলিসে ইদারির প্রধান, মুফতিয়ে আজম আল্লামা মুফতি আবদুচ্ছালাম চাটগামী এবং শায়খুল হাদিস ও আমিরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
এদিকে মহতি মাহফিলকে সফলকাম করার জন্য রাত-দিন নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জামিয়ার শিক্ষক, স্টাফ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। এলাকাবাসীরাও এ মাহফিলকে সফল করার লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন।
মাহফিল উপলক্ষে পুরো জামিয়াজুড়ে সাজসাজ রব। বিশাল আয়োজনের প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে শেষের দিকে। হাজার হাজার মুসলিম জনসাধারণের সমবেত হওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এক বিশাল মাঠ। প্রতি বছর শ্রোতাদের সমাগম বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঠের আয়তনও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মাদ্রাসা, ক্যাম্পাস, মসজিদ ও শ্রেণিকক্ষগুলোকেও আগত মেহমানদের উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং তাদের সাদরে বরণ করার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জামিয়ার ভেতর-বাহির সর্বস্থানে সাজানো-গোছানোর অনুপম ছোঁয়া লক্ষ করা গেছে।