{"data":{"pictureId":"2e54292461154e19828c1655821000a9","appversion":"4.0.0","stickerId":"","filterId":"","infoStickerId":"","imageEffectId":"","playId":"","activityName":"","os":"android","product":"retouch","exportType":"image_export","editType":"image_edit","alias":""},"source_type":"vicut","tiktok_developers_3p_anchor_params":"{"source_type":"vicut","client_key":"aw889s25wozf8s7e","picture_template_id":"","capability_name":"retouch_edit_tool"}"}
খুলনার বটিয়াঘাটায় সরকারি খাল ভরাট করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করা ও পাকা স্থাপনা তৈরি করে বিক্রি করছে একটি চক্র। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দলের নাম ব্যবহার নিজেকে বড় নেতা পরিচয় দানকারী দ্বীনবন্ধু রায়ের ছেলে দিলিপ রায় খাস জমি দখল করে বিক্রি করছে।
বটিয়াঘাটার তেতুলতলা মৌজায় সরকারি ৫/৭টি খাস খাল কাগজে থাকলেও বাস্তবে তার চিত্র উল্টো। ময়ূর নদ থেকে সৃষ্টি এই খালের, যা ভরাট হয়ে যাওয়ায় এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ম্যাপের খাল চিহ্নিত জায়গাগুলো বালু মাটি ভরাট করে সমতল জায়গা তৈরী করে ফেলেছে যে যার মত। সরকারি খালের পাশে যার জায়গা আছে সে মাটি ভরাট করে নিজের জায়গা বলে ব্যবহার করছে, আবার বিক্রি ও করছে। এরকম আরও নজির আছে পংকজ রায়, প্রফুল্ল মন্ডল ও আজিজুল এরাও ইচ্ছামত পাকা স্থাপনা করে ঘরবাড়ি দোকানপাট তৈরি করেছে বেআইনীভাবে।
১ নং জলমা ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ড চক্রাখালী তেতুলতলা রবি টাওয়ারের পশ্চিম পাশে শ্রী বাবা লোকনাথ ফার্মেসীর মালিক পল্লী ডাক্তার মুক্তিরানী মন্ডল বলেন, আমি জানি এটা সরকারি খাস জায়গা, আমার নিজের উদ্যোগে এই ওষুধের দোকান করেছি সরকারি জায়গায়। সরকার যদি তুলে দেয় তাহলে আমাকে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে আমি একা নই অনেকেই সরকারি খাস জায়গা দখলে নিয়ে নিজের বলে চালিয়ে দিচ্ছে। আমার দিলিপ দাদার ঘরটাও খাস জায়গায়।
তাছাড়া মো. আরিফুল ইসলাম এর মোল্লা বাগান বাড়ী নামের একটা সাইনবোর্ড দেখা যায় সেটাও এই সরকারি খাস খাল ভরাট করে ঘর তৈরী করা। দিলিপ রায় এসব জায়গার মালিক ছিলেন, তার থেকে ক্রয় করে অনেকে বাড়ি তৈরি করেছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে খাল দখলকারী দিলিপ বলেন, আমি একা নই আরও অনেকে সরকারি খাস খাল দখল করে বাড়ি তৈরি করেছে। দিলিপ নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা বলে দাবী করে এ প্রতিবেদকের কাছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আসিফ রহমান বলেন, আমরা সরকারি খাস জমি এবং খাল পুনরুদ্ধার করছি। কেউ যদি সরকারি খাস জায়গা দখল করে এমন সংবাদ পেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খাল ভরাট হয়ে থাকলে পুনরায় খাল খনন করা হবে। সরকারি খাস জায়গা দখলে রাখার কোনো সুযোগ নাই। যারাই অবৈধভাবে খাস খাল দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।