সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা রবিবার , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সরকারি চার ব্যাংকের ২৪৩ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত | চ্যানেল খুলনা

সরকারি চার ব্যাংকের ২৪৩ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত

করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাংকগুলোতেও। এপর্যন্ত সরকারি চার ব্যাংকেই ২৪৩ জন কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে ছুটিতে গেছেন পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা। এরই মধ্যে মারাও গেছেন সাতজন। সব মিলিয়ে দিন যত গড়াচ্ছে, পরিস্থিতি ততই খারাপ হচ্ছে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের।

করোনা শনাক্ত হয়েছে অগ্রণী ব্যাংক এমডির গাড়িচালকের। এরপর থেকেই কোয়ারেন্টাইনে আছেন ব্যাংকটির এমডি মো. শামস্-উল-ইসলাম। সবকয়টি ব্যাংকেরই নেতৃস্থানীয় পদের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তারও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এতদিন শাখা পর্যায়ের কর্মকর্তারা বেশি সংক্রমিত হলেও এখন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিস্থিতি যেভাবে দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে, তাতে ব্যাংকের কার্যক্রমই মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নগর থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে প্রধান চার ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালীর শাখা রয়েছে ৩ হাজার ৬৬৬টি। এ চারটি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। তবে করোনার তাণ্ডব রাজধানীতে বেশি হওয়ায় ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় ও শাখাগুলোর কার্যক্রম ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত সবচেয়ে বড় সোনালী ব্যাংকের শাখার সংখ্যা ১ হাজার ২২৪। ব্যাংকটির জনবলের সংখ্যা ১৯ হাজার ৬০৯ জন। করোনার সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে এ ব্যাংকটিতে। সর্বোচ্চসংখ্যক আক্রান্ত, মৃত্যু ও উপসর্গ নিয়ে করোনায় কাঁপছে সোনালী ব্যাংক। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের অনেক কর্মকর্তাই করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। করোনা শনাক্ত হয়েছে সোনালী ব্যাংক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারীরও।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আতাউর রহমান প্রধান জানান, এখন পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের ১২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন কর্মকর্তা মারা গেছেন। অন্তত ২০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। প্রধান কার্যালয়েরও অনেক কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যাংকের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। তার পরও আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর থেকে ব্যাংকের সব কার্যক্রমই শুরু হয়েছে। যে সংখ্যক কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠাতে হচ্ছে, তার বিকল্প কর্মকর্তা আমাদের নেই। এমনিতেই সোনালী ব্যাংকে জনবলের ঘাটতি আছে। তার মধ্যে শত শত কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানোয় সংকট তীব্র হয়েছে।

করোনায় এরই মধ্যে দুজন কর্মকর্তাকে হারিয়েছে জনতা ব্যাংক। করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যাও অর্ধশতাধিক ছাড়িয়েছে ব্যাংকটিতে। উপসর্গ দেখা দিয়েছে এমন কর্মকর্তার সংখ্যাও শতাধিক। পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত এ ব্যাংকটিরও। সারা দেশে জনতা ব্যাংকের শাখার সংখ্যা ৯১৩। ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১১ হাজার ৯৬৬ জন।

মৃত্যু ভয়, ঝুঁকি সত্ত্বেও কর্মীরা কাজে আসছেন বলে জানান জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ। তিনি বলেন, আমাদের করোনা আক্রান্ত কর্মীর সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। এর দ্বিগুণ কর্মীকে করোনা উপসর্গের কারণে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। অনেকে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে অফিসকে জানাচ্ছেও না। গতকালও কক্সবাজারে আমাদের একজন কর্মকর্তা মারা গেছেন। প্রধান কার্যালয়ের অনেক কর্মীও করোনা আক্রান্ত। তার পরও সপ্তাহের পাঁচদিনই আমি অফিসে যাচ্ছি। এতে সহকর্মীরা অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। দেশের অর্থনীতিকে টেনে তুলতে ব্যাংকারদের ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে।

৯৫৬টি শাখা ও সাড়ে ১২ হাজার কর্মী নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মারা গেছেন একজন কর্মকর্তা। করোনা উপসর্গ ও অন্যান্য রোগে গত দুই মাসে ব্যাংকটির আরো দুজন কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে অন্তত ৪০ জন কর্মকর্তার। করোনা উপসর্গে ভুগছেন আক্রান্তেরও দ্বিগুণ। অগ্রণী ব্যাংকের নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তাদের মাঝেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ব্যাংকটির দুজন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিতে আছেন অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. শামস্-উল-ইসলামও।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত গাড়িচালকের করোনা পজিটিভ এসেছে। তার উপসর্গ দেখা দেয়ার দিনও আমাকে নিয়ে অফিসে গিয়েছে। এজন্য নিজে থেকেই বাসায় কোয়ারেন্টাইনে আছি। তবে এখন পর্যন্ত সুস্থ আছি।

শামস্-উল-ইসলাম জানান, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা থেকে শুরু করে সব বৈঠক অনলাইনে হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি আমাদের অনেক কিছুই নতুন করে ভাবতে ও করতে শেখাচ্ছে। অগ্রণী ব্যাংকের অন্তত ৪০ জন কর্মকর্তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। উপসর্গ আছে, এমন কর্মীর সংখ্যাও অনেক। তার পরও সুস্থ কর্মীরা নিয়মিত অফিসে আসছেন।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মারা গেছেন রূপালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. শহিদুল ইসলাম খান রিপন। ব্যাংকটির আরও ২৫ জন কর্মকর্তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এর মধ্যে রূপালী ব্যাংকের পুরানা পল্টন শাখার ডিজিএমও রয়েছেন। তবে করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে ব্যাংকটির এমন কর্মীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অনেক কর্মকর্তাই করোনা উপসর্গে ভুগছেন।

ব্যাংক কর্মকর্তাদের অনেকেরই করোনা উপসর্গ থাকলেও ভোগান্তির কারণে পরীক্ষা করাতে পারছে না বড় একটি অংশই। করোনা শনাক্ত হওয়া কয়েকজন কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, জ্বরসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে পরীক্ষা করা গেলেও দেখা যাচ্ছে অবস্থার অবনতি হয়ে গেছে ততক্ষণে। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রেও ভোগান্তির পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

https://channelkhulna.tv/

অর্থনীতি আরও সংবাদ

১৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫ হাজার কোটি টাকা

মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তোলা হবে : এম সাখাওয়াত হোসেন

কৃষি ব্যাংকের ৭০ কোটি টাকা লোপাট, দুই মামলায় ৮ আসামি

অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করলে হার্ডকপির প্রয়োজন নেই

দেশের বাজারে কমল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর

আয়কর সেবা মাস শুরু, কর অফিসে সব সেবা

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।