সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সরকারি দেবহাটা পাইলট হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুলকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী! | চ্যানেল খুলনা

সরকারি দেবহাটা পাইলট হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুলকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী!

সাতক্ষীরার দেবহাটার সরকারি বি.বি.এম.পি. ইনস্টিটিউশনের (পাইলট হাইস্কুল) সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী এবং একের পর এক সম্মানহানীর ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকার সাধারণ মানুষ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মো. শফিকুল ইসলাম ২০০৮ সালে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ হতে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। গত ১৫/০৪/২০১২ তারিখে তার উত্তোলিত প্রভিশনাল সনদে প্রস্তুতকারক ও নিরীক্ষকের স্বাক্ষর থাকলেও ভুলবশত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর না থাকায় ২০১৩ সালে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির কতিপয় সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম তরিকুল ইসলাম সনদ পত্রটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচাই না করে ই-সনদপত্র সম্পর্কে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ বিধি না জেনে নিয়োগ বিষয়ে মন্তব্য করেন।
পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এ বিষয়ে তদন্তের জন্য গত ১১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তৎকালীন সভাপতি নজরুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পাল সনদ যাচাইয়ের জন্য গত ২৯ আগষ্ট ২০১৩ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর পত্র দিলে (স্বারক নং- দেমস্কু/দেব/সাত/২০১৩/১-৮) গত ০৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ সনদ যাচাই পূর্বক শফিকুল ইসলামের উক্ত সনদ পত্রটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত, সঠিক এবং ভূলবশত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর ছাড়া চলে যাওয়ার কথা স্বীকার করে। সনদটি শিক্ষার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বাতিল করে নতুন সনদ ইস্যু হয়েছে মর্মে বিদ্যালয় কতৃপক্ষকে পত্র প্রেরণ করেন। স্মারক নং- এইউবি/পরীক্ষা/২০১৩ (৩ ডিসেম্বর) তারিখ সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার গত ১৬ জানুয়ারী ২০১৪ তারিখে প্রধান শিক্ষককে পত্র দিয়ে (স্মারক নং- জেশিঅসাত/১৫৮৮ তারিখ- ১৬ জানুয়ারী ২০১৪ইং) গত ২১ জানুয়ারী ২০১৪ তারিখে সরজমিনে উপস্থিত হয়ে আবেদনকারীদের সম্মুখে তদন্তকার্য সম্পন্ন করেন। প্রধান শিক্ষক কতৃক উপস্থাপিত কাগজপত্র ও সনদ পত্র যাচাই পর্যালোচনা করে সনদপত্রকে যথাযথ ও সঠিক এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক বলে এক প্রতিবেদনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করেন। যার স্মারক নং- জেশিঅসাত/১৬৭২ (০৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ইংরেজি) তারিখে তদন্তকালে প্রধান শিক্ষকের উপস্থাপিত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখের একটি ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশনে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মনগড়া, উদ্দেশ্য প্রনোনিত, বানোয়াট, সম্মানহানির অপচেষ্টা ও অসৎ ব্যক্তিদ্বারা প্রভাবিত মর্মে সিদ্ধান্তটি পর্যালোচনা করা হয়। তৎকালীন সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে তদন্তকালে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দোষারোপ করা হয়। এরপর গত ১৫ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে ইস্যুকৃত এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বাতিলকৃত সনদ পত্রটিকে পুনঃরায় যাচাইয়ের জন্য মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার বরাবর পত্র (স্মারক নং- ৪জি-২০২৬-ম/২০১০/সাত/দেব/বিবি/৩০৬১ তারিখ- ১৫/০৪/২০১৪ইং) দিলে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ পুনরায় সনদ যাচাই শেষে স্বাক্ষর বিহীন সনদটি তাদের ইস্যুকৃত, সঠিক এবং সনদ সম্পর্কে সন্দেহের কোন আবকাশ নেই মর্মে মাউশিকে জানায়। স্মারক নং- এইউবি/পরীক্ষা/২০১৪/৪৩ তারিখ- ২২/০৪/২০১৪ইং। দীর্ঘ সময়পর ব্যক্তিগত ও সম্পত্তির বিরোধকে পুঁজিকরে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের মদদপুষ্ট দেবহাটার মৃত আহাদ আলী গাজী ছেলে নওয়াব আলী গাজী এবং জুব্বার মোড়লের ছেলে মোহাম্মাদ আলীকে বাদি করে শফিকুল মাস্টারের মাস্টার্স সনদকে জাল প্রমানের জন্য যথাক্রমে সাতক্ষীরা সহকারি জজ আদালত (মামলা নং ২৪/২০) ও সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলী ৭নং আদালতে ৬৭/২০ নং মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ সহকারি জজ আদালত কাগজপত্র পর্যালোচনায় মামলাটি খারিজ করে এবং আমলী আদালত সাতক্ষীরা পিবিআইকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সাতক্ষীরা পিবিআই কর্তৃক পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সনদ যাচাই শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাচাইপত্র (স্মারক নং- এইউবি/পরীক্ষা/২০২০ /৩১৬ তারিখ- ৬ অক্টেবর ২০২০) সহ সনদ পত্রটিকে সঠিক ও সত্য মর্মে বিজ্ঞ আদালতে গত  ৮ নভেম্বর ২০২০ইং তারিখে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। স্মারক নং- পিবিআই/সাতক্ষীরা/২০২০ /৪০২।
এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম জানান, বিগত দিনে প্রাক্তন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের তদন্ত চলছে। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমান সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে মিথ্যা মামলার ভয়ে ভীত না হয়ে বিদ্যালয়ের উন্নতিকল্পে প্রতিবাদ করে যাবেন বলে জানান। ইতোমধ্যে প্রাক্তন সভাপতি নজরুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পালের নানা অনিয়মের প্রতিবাদে গত  ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ বিক্ষোভ ও মানব বন্ধন শেষে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রতিকার চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন অভিভাবক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এতে প্রাক্তন সভাপতি নজরুল ইসলাম উক্ত শিক্ষকের নামে আরও একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। যার নং-৭২/২০। যা পিবিআই কর্তৃক তদন্ত শেষে উক্ত শিক্ষককে নির্দোষ জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

https://channelkhulna.tv/

সাতক্ষীরা আরও সংবাদ

তালায় আট দলীয় নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টের দেবু সরকার ক্লাব বিজয়ী

তালায় জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতেন হাবিবুল্লাহ

সিডরের ক্ষততে তালায় নিহতের পরিবারগুলোর মানবেতর জীবনযাপন

তালায় জরায়ুমুখে ক্যানসারের টিকাদান নিয়ে মধ্যবর্তী অবহিতকরণ সভা

বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।