সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা সোমবার , ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
দেশে প্রথম সরকারি সম্পত্তির ছবিযুক্ত ডাটাবেজ খুলনায় | চ্যানেল খুলনা

দেশে প্রথম সরকারি সম্পত্তির ছবিযুক্ত ডাটাবেজ খুলনায়

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ অর্পিত সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, হাটবাজার, খাস জমি ও জলমহালের ছবিযুক্ত ডাটাবেজ এর মাধ্যমে সরকারি স্বার্থ রক্ষা এবং ভূমি ও সায়রাত ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার (LSM) এর মাধ্যমে ই-সেবা প্রদান

খুলনা কালেক্টর প্রতিটি জেলায় সরকারের পক্ষে ডূমির রক্ষণাবেক্ষণ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত। আবহমান কাল থেকেই বাংলাদেশের ভূমি সংক্রান্ত বিষয়গুলো জটিলতা পরিলক্ষিত হয়। পাশাপাশি এই সেবাগুলো সময়সাপেক্ষ যা অনেকক্ষেত্রে একটি সুবিধাবাদী শ্রেণির উদ্ভব ঘটায়। জনসংখ্যার ক্রমবৃদ্ধির ফলে জমির উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। দিন দিন কৃষি জমির পরিমান কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে সরকারি খাস জমি, ভিপি জমি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, জলমহাল, হাটবাজার ইত্যাদি অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের স্বল্প সংখ্যক জনবল দ্বারা এত বিশাল পরিমান সরকারি সম্পত্তি সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ, তদারকী ও রাজস্ব আদায় দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জমিজমা ব্যক্তি পর্যায়ে রেকর্ডও হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, জেলা প্রশাসক, খুলনা এর নির্দেশনা। অনুসারে জনাব সারােয়ার আহমেদ সালেহীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), খুলনার সার্বিক পরিকল্পনা ও সরাসরি তত্ত্বাবধানে খুলনা জেলার সকল অর্পিত সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, হাটবাজার, খাস জমি ও জলমহালের ছবিসহ বর্তমান অবস্থার তথ্য, এসএ খতিয়ান ও আরএস খতিয়ান সম্বলিত তথ্য ভান্ডার তৈরি করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এবং খুলনা জেলার সকল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), সার্ভেয়ার, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এবং অফিস সহকারী সহ সকলের আন্তরিক এবং সমন্বিত চেষ্টায় এ অনন্য উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। দ্রুততম সময়ে নাগরিক সেবা প্রদান এবং সকল ক্ষেত্রে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই পরিবর্তিত ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জেলা প্রশাসক মাঠ পর্যায়ে সরকারের মুখ্য প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন তাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সকল কাজে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নততর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে খুলনা জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মােহাম্মদ হেলাল হােসেন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। জেলা প্রশাসক, খুলনা ই-সেবার মাধ্যমে দুর্নীতি বন্ধ করে খুলনা জেলার সার্বিক ভূমি ব্যবস্থাকে অনলাইন প্লাটফর্মে আনয়ণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে খুলনা জেলার অর্পিত সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, হাটবাজার, খাস জমি ও জলমহাল সহ ভূমি সেবা সংক্রান্ত সকল শাখাকে ডিজিটাল শাখায় রুপান্তরিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় এবং সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জায়গা জমি, হাট বাজার ও জলমহালের সঠিক সংখ্যা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং শতভাগ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে ছবিসহ ডাটাবেজ প্রস্তুতের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয় এবং তা সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়।
ভূমি ব্যবস্থাপনায় সেবা সহজীকরণ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং ই-সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ছবিযুক্ত ডাটাবেজ ও সফটওয়্যার তৈরী একটি অনন্য সাধারণ, টেকসই ও রেপ্লিকেবল উদ্যোগ যা ইতােমধ্যে গতানুগতিক ধারার বাইরে ডাটাবেজ ও সফটওয়্যার তৈরির মাধ্যমে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজের ধারায় পরিবর্তন এনেছে। অর্পিত সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি হাটবাজার, খাস জমি ও জলমহালের সকল তথ্য ডাটাবেজে সংরক্ষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া তরান্বিত করে দ্রুত ও সহজে জনগণকে সেবা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে ।সমগ্র খুলনা জেলার সকল অর্পিত সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, হাটবাজার, খাস জমি ও জলমহালের সামগ্রিক তথ্যের ছবিযুক্ত হার্ডকপি সংরক্ষণ ও সফটওয়্যারে আর্কাইভকরণ এবং নিজস্ব ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে নাগরিকের আবেদন ও অভিযােগ গ্রহণ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদান করার ফলে ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে দালাল চক্রের দৌরাত্ম ও দুর্নীতি হ্রাস পেয়েছে যা উদ্যোগটির আরেকটি ইতিবাচক দিক হল ডাটাবেজ তৈরি এবং সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে ই-গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আধুনিক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথে সরকারি জমি সংরক্ষণ সহজতর হবেএ উদ্যোগের ফলে অর্পিত, পরিত্যাক্ত,জলমহাল, হাটবাজার এবং খাস সম্পত্তির ছবিযুক্ত তথ্য টেকসইভাবে সংরক্ষণ এবং সরকারি স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। স্বচ্ছতা ও জবাদিহিতা নিশ্চিত করে দুরততম সময়ে সেবা প্রদান নিশ্চিত হওয়ার ফলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি হ্রাস পেয়েছে এবং সঠিক উপকারভােগীদের নিকট সেবা পৌঁছানাের পাশাপাশি শতভাগ রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। LSM সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনার ফলে রাজস্ব আয় উল্লেখযােগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে ১৪২৫-১৪২৭ মেয়েদের তুলনায় ১৪২৬-১৪২৮ মেয়াদে ইজারাকৃত জলমহাল থেকে মােট রাজস্ব আদায় ৪০.৩১% বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্পিত সম্পত্তি দাবী আদায়ের ক্ষেত্রে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের আদায়ের তুলনায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১৯% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরিত্যক্ত সম্পত্তি দাবী আদায়ের ক্ষেত্রে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের মোট দাবী ৩,৬৩,৬০০/- টাকার তুলনায় আদায় ৭,৯৯,০৪২/- অর্থাৎ আদায়ের হার ২১৭.৫৫%।শুধুমাত্র ১৪২৬ সালেই হাটবাজার ইজারা থেকে রেকর্ডসংখ্যক রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে, যার পরিমাণ ৪,৬৬,৬০,৫৬০/- টাকা। অধিকন্তু প্রকল্পের কার্যক্রম গ্রহণের ফলে জনগণ ভূমি বিষয়ক আবেদন ঘরে বসেই করতে পারছে তাই তাদের সময়ের অপচয় ও খরচ দুটোই কমেছে। হয়রানি বন্ধ হচ্ছে, অতিদ্রুত সেবা পাচ্ছে। স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে নথি আর্কাইভ করায় নথি বিনষ্টের সম্ভবনা কমেছে। এক ক্লিকেই জমির চিত্রসহ জমির সার্বিক অবস্থা, লীজ কেস সংক্রান্ত মামলা এবং ইজারা গ্রহীতাদের দ্বারা শর্ত প্রতিপালন সংক্রান্ত তথ্য সন্নিবেশিত থাকায় সহজেই লীজ নবায়ন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাচ্ছে। একইসাথে নাম পরিবর্তন, মেরামত, ইজারা নবায়ন, পাকা/কাঁচা ঘর নির্মান, জমির শ্রেণি পরিবর্তন সহ অন্যান্য সকল সেবার জন্য আবেদন করার। সুযােগ প্রদান করায় ভূমি সংক্রান্ত সার্বিক সেবার একটি অনন্য প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে। উক্ত সফটওয়্যারে রিপাের্ট প্রদানের ব্যবস্থা রাখা। হয়েছে, যার মাধ্যমে জমির অবস্থান, লীজকৃত মূল্য, বর্তমান ইজারাদার, জমির শ্রেণি, লীজের মেয়াদ এবং সরকারি পাওনা সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। তাই অনলাইন সেবার প্রতি গুরুত্ব দানের মাধ্যমে Paperless Office প্রতিষ্ঠা ও ই-গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিটি শাখায় পর্যাপ্ত সংখ্যক কম্পিউটার, স্ক্যানার, প্রিন্টার সরবরাহ করা হয়েছে এবং ইনডাের ডেকোরেশনের মাধ্যমে কর্মপরিবেশের আধুনিকায়ন হয়েছে এবং কর্মচারীদের কাজের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে নথি সংরক্ষণ একটি স্থায়ী পদ্ধতি ফলে সাধারণ নথি বিনষ্ট হলেও সফটওয়্যারের মাধ্যমে নথির স্থায়ী সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে।অনলাইনে ভূমিসেবা প্রদানের প্রতি গুরুত্ব আরােপ করে পর্যায়ক্রমে একটি স্থায়ী Paperless Office প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ছবিযুক্ত হালনাগাদ ডাটাবেজ একটি স্থায়ী ও টেকসই পদ্ধতি যা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যাবে এবং উদ্যোগটি সারা দেশে বাস্তবায়িত হলে সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির যথাযথ ও টেকসই সংরক্ষণ, ব্যবহার নিশ্চিতকরণ সহ শতভাগ রাজস্ব আদায়

নিশ্চিত হবে।। তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান, পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হয়রানি ও জটিলতা মুক্ত ভূমি সেবা প্রদান করা অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। ই-গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দক্ষ ও জবাবদিহিতামূলক ভূমিসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলাে অপরিহার্য জেলা প্রশাসন, খুলনা সে সকল বিষয় নিয়ে পরিকল্পনামাফিক কাজ শুরু করে। প্রথমেই একটি সফটওয়্যার তৈরির পদক্ষেপ নেয়া হয়, যাতে খুলনা জেলার সমস্ত অর্পিত সম্পত্তি, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, হাটবাজার, খাস জমি ও জলমহালের ছবিসহ তথ্য সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রতিটি অর্পিত সম্পত্তি, পরিত্যাক্ত সম্পত্তি, হাটবাজার, খাস জমি ও জলমহালের ছবি সহ বর্তমান অবস্থার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সকল লীজ কেস নাম্বারের সাথে এসএ খতিয়ান ও আরএস খতিয়ান পরতাল করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খুলনার অনন্য এ উদ্যোগ বাস্তবায়ত হলে সারা দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। সার্বিক বিষয়গুলাে ই-সেবা চালুর একটি প্রক্রিয়া হিসেবে জনকল্যাণমূলক, জবাবদিহিতামূলক ও দক্ষ প্রশাসন গড়ার মাধ্যমে জনসেবার জন্য প্রশাসন প্রত্যয়টিকে পূর্ণতা দান করেছে।

https://channelkhulna.tv/

খুলনা মহানগর আরও সংবাদ

সোনাডাঙ্গায় অস্ত্র-গুলিসহ সন্ত্রাসী ডাবলু গ্রেপ্তার

‘দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব নয়’ ধর্ম উপদেষ্টা

দ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

খুলনায় পুলিশের এডিসি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

খুলনা মহানগরে ১০টি স্থানে ভর্তুকিমূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি চলছে

খুলনায় জাপা কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।