সামাজিক দূরাত্ব বজায় রেখে করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের খাদ্য সহায়তায় বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সাড়ে ২৬ হাজার সুবিধাভোগী পাচ্ছেন ১০ টাকা দরে চাল। সর্বত্রই বিতরণ চলছে।
জানাগেছে, উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়নে বর্তমান সরকারের চলমান সামাজিক বেষ্টনির আওতায় ভিজিডি, জাটকা আহরণ বিরত থাকা জেলেদের মাঝে ভিজিএফ চাল গত এক সপ্তাহ ধরে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুদা হবে নিরুদ্দেশ” এ বারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ২৬ হাজার ৪শ’ ৫৪ জন ৭৯৩. ৬২০ মেট্রিকটন চাল মৎস্যজীবী জেলেরা ৩৩শ’ ১৬ পরিবার ৯৯. ৪৮০ মেট্রিকটন এবং ভিজিডির আওতায় দুস্থ ২৮শ’ ৬৪ পরিবার ২২৯.১২০ মেট্রিকটন জানুয়ারি থেকে মার্চ ৩ মাসে জনপ্রতি ৯০ কেজি করে পাচ্ছেন চাল।
সকাল ৯টা থেকে খাউলিয়া ইউনিয়নের ৫টি স্পটে ২৬শ’ ৯৯ জন সুবিধাভোগীর মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। এছাড়াও সরকারের সামাজিক বেষ্টনি প্রকল্পের আওতায় ৩শ’ ১৬ জন দুস্থ পরিবারের মাঝে ৩ মাসে ৯০ কেজি চাল বিতরণ করেন প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য মো. আলমঙ্গীর হোসেন।
অপরদিকে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ২৬শ’ ৫০ পরিবার পেলেন চাল সাথে মাস্ক। গুলিশাখালী, পলিট্রিক্স বাজার, বান্দার বাজার ও জিউধরা বাজারের ৪ টি স্পটে এ চাল বিতরণ উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রতন কৃষ্ণ দাস। ডিলার অধ্যাপক শামীম আহসান পলাশ, এইচএম তানভির তুহিন, ফেরদৌস হোসেন পিয়াস, রুনু খান, ইউপি সদস্য জসিম মৃধা।
খাউলিয়ার প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য মো. আলমঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাস মুর্হুতে গৃহেথাকা কর্মহীন, সাধারণ মানুষের খাদ্য সহায়তার জন্য এ ইউনিয়নে ভিজিডির আওতায় সুবিধাভোগী ৩১৬ পরিবার ৩ মাসে ৯০ কেজি চাল পাচ্ছেন। পাশাপাশি ২৬শ’ ৯৯ জন পাচ্ছেন ১০ টাকা দরে চাল।
সংশ্লিষ্ট খাউলিয়া ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. জাকির হোসেন, ইউপি সচিব শরিফুদৌলা, ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক তালুকদার, কামরুজ্জামান খান, মিলন মীর, মহিদুল ইসলাম, নাসির হাওলাদার, শাহানাজ বেগম, রুবি বেগম, চাঁন মিয়া, মিলন হাওলাদার, আবুল হাসান হৃদয় সহ সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, করোনা মুর্হুতে খাদ্যসহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা এর দেওয়া চলমান সামাজিক বেষ্টনি প্রকল্পের সকল কর্মসূচি বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। কোন খাদ্যে ঘাটতি সংকটে পড়বে না সাধারণ মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য বাজার দর নিয়ন্ত্রনে রাখতে সার্বক্ষনিক মনিটারিং করা হচ্ছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে বেশী দামে বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।