সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার পক্ষে লড়বেন না অ্যাডভোকেট মো. মিসবাউর রহমান আলম।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে কোনো আইনজীবী আকবরের পক্ষে না দাঁড়ানোর ঘোষণার মধ্যে মিসবাউর রহমান আলম গত ১০ ডিসেম্বর তার পক্ষে ওকালতনামা দাখিল করেন। কিন্ত নানা সমালোচনার পর বৃহস্পতিবার তিনি আকবরের পক্ষে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট মিসবাউর রহমান আলম বলেন, রায়হানের পক্ষে তার মামলা পরিচালনার জন্য যোগাযোগ করা হলে পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকেই মামলাটি গ্রহণ করি। হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনের মামলাটি আমার কাছে একেবারেই নতুন ও চ্যালেঞ্জের ছিল। তাই কোন কিছু না ভেবে মামলাটি গ্রহণ করি।
তিনি বলেন, আইনি সহায়তা পাওয়া প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার। কোনো কারণে যদি আসামিপক্ষ আইনজীবী পেতে ব্যর্থ হয়, তবে পুরো বিচার প্রক্রিয়াই আটকে যাবে। বিচার প্রার্থীই বরং ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। অনেকেই আমার শ্রদ্ধাভাজন সিনিয়রকে জড়িয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় আকবরের পক্ষে আইনি লড়াই থেকে বিরত থাকছি।
পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের কারণে গত ১১ অক্টোবর সকালে নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদ মারা যান। তার মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রী তামান্না বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় বন্দারবাজার বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ ৪ জনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও ৩ জনকে প্রত্যাহার করে নেয় এসএমপি।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আর ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত ৫ জন কারাগারে রয়েছেন। চলতি মাসেই আলোচিত এ মামলার চার্জশিট দেবে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই।