অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এরপর বাংলাদেশ জাতীয় দলেও সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। সেই মিরাজ ও তার স্ত্রী নাম লিখিয়েছেন জাতীয় পরিচয়পত্রে। নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধন হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মিরাজ দম্পতি।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মিরাজ ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার প্রীতি জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য নিবন্ধন ফরম থানা নির্বাচন কর্মকর্তা সৌমেন বিশ্বাস ছন্দের নিকট জমা দিয়েছেন। খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে নিবন্ধন ফরমে উল্লেখ করেছেন মিরাজ দম্পতি।
ADVERTISEMENT
নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধর করার প্রতিক্রিয়ায় ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘ভোটার অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওইভাবে সময় পায়নি। চার-পাঁচ বছর অনেক ব্যস্ত সময় পার করেছে জাতীয় দলে খেলেছি এবং বিভিন্ন জায়গাতে ট্যুর করেছি। খুলনাতেও তেমন আসতে পারিনি। এ জন্য এতোদিন ভোটার নিবন্ধন করা হয়নি।’
সঙ্গে যোগ করেন মিরাজ, ‘আর এখন ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করছি, অবশ্যই আমার কাছে ভালো লাগছে। এখন অনেক সময় দিতে পারছি, কলেজের বিভিন্ন কাগজপত্র, ফরম প্রস্তুত করতে পেরেছি। ওভারঅল একটা বড় সময় নিয়ে কাজগুলো করতে পেরেছি। এনআইডি কার্ড অনেক বড় একটা জিনিস। এতো দিন খেলার ভিতরেই ছিলাম, যে কারণে এসব কাজগুলো করার সময় পায়নি।’
মিরাজের ভাষায়, প্রত্যেকটা মানুষেরই নাগরিকত্বটা বড় গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। সঠিক সময়ে প্রত্যেকটা মানুষেরই ভোটার হওয়া প্রয়োজন। আমি আগে ভোটার হতে চেয়েছি, কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে হতে পারিনি।
মিরাজ আরও বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের জীবনে ভোটার আইডি কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এতোদিন পাসপোর্ট দিয়ে কাজ চালিয়েছি। আমাদের দু’জনের জন্যই ভোটার আইডি কার্ডটি গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য আমি ও আমার স্ত্রী দু’জনে মিলেই ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করলাম। করোনার টিকার জন্যও ভোটার আইডি কার্ড লাগছে। ভোটার নিবন্ধন করে ভালোই লাগছে।’