খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাংবাদিকবৃন্দের সাথে ভিসির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় খুলনায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডীন প্রফেসর ড. এ এন এম মিজানুর রহমান ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান ভূঞা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কুয়েট ভিসি বলেন, প্রেসিডেন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আগামী চার বছরের জন্য আমাকে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি।
তিনি বলেন, দায়িত্বগ্রহণের পরই আমি সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় আমরা কাজ করতে চাই। আপনাদের পরামর্শ আমাদের সামনের দিনগুলোকে সুন্দর করবে। অনুপ্রেরণা ও শক্তি যোগাবে।
কুয়েট ভিসি আরো বলেন, ১৯৭৪ সালে তিনটি বিভাগ, ১ জন ছাত্রীসহ ১২০ জন স্নাতক শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই বিদ্যাপীঠে বর্তমানে ৩ টি ইনস্টিটিউট, ২০ টি বিভাগ, ৪৮৫১ জন স্নাতক ও ১৭৭৭ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রয়েছে।
বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষায় বিশেষ করে প্রকৌশল শিক্ষায় অন্যতম একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার শিক্ষার্থীরা দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশকে। উন্নত, সমৃদ্ধশালী ও আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে চলার লক্ষ্য অর্জনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা এবং গবেষণার ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
কুয়েট ভিসি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সমৃদ্ধশালী, গবেষণাধর্মী ও উদ্ভাবনীময় বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা। এজন্য আগামী দশ বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে World Ranking এ একটি উচ্চ অবস্থানে নিয়ে আসা।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান পাশ্চাত্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের সমপর্যায়ের প্রমাণের জন্য এক্রিডিটেশন করার কাজ চলমান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান প্রজেক্টের আওতায় যে সমস্ত আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান অচিরেই আরো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এর মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের র্যাংকিংও বেড়ে যাবে।