খুলনা অফিসঃখুলনার সাংবাদিক আব্দুল জলিলের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করেন সাংবাদিকরা।
খুলনায় কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন প্রবীন সাংবাদিক ও খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান বাবু। দৈনিক কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক কৌশিক দে বাপী ও দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার হাসান হিমালয় মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, সোর্সের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় খুলনা প্রেসক্লাবের সহকারী সম্পাদক আব্দুল জলিলকে ফেনসিডিল দিয়ে ফাঁসিয়ে রোববার মুসলমানপাড়ার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে। জলিলের ঘরের পাশের ড্রেনে ১০ বোতল ফেনসিডিল নিজেরা ফেলে রেখে জলিলকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তারা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অসাধু সোর্স ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে সৎ, পেশাদার ও কর্মনিষ্ঠ সাংবাদিক জলিলের বাড়িতে অভিযান চালায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। তারা শার্টার ভেঙ্গে ও দেয়াল টপকে বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে।
একপর্যায়ে সাংবাদিক জলিলের বাড়ির পাশে ড্রেন থেকে ১০ বোতলপরিত্যক্ত ফেন্সিডিল উদ্ধার দেখিয়ে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। বক্তারা আরও বলেন, কয়েক দিন আগে ওই এলাকার এক মাদক ব্যবসায়ীকে নিয়ে খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক খুলনাঞ্চলে প্রতিবেদন করেন আব্দুল জলিল।
এরপর থেকেই তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। শুধু তাই নয়, এলাকায় মাদকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামানকে বিষয়টি জানান জলিল। এসব কারণেই হয়ত তাকে ফেনসিডিল দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে আব্দুল জলিলের নি:শর্ত মুক্তি ও তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় সাংবাদিকরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারী দেন তারা। একই সাথে বক্তারা খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সকল সংবাদ বর্জনের ঘোষণা দেন।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসকাবের সহ-সভাপতি ও দৈনিক মানবজমিনের ব্যুরো প্রধান রাশিদুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাপ্তাহিক আমাদের খুলনার চীফ রিপোর্টার হাসান আহমেদ মোল্যা, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি আবুহেনা মোস্তফা জামাল পপলু, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের এএইচএম শামিমুজ্জামান, বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এবং দৈনিক পূর্বাঞ্চলের স্টাফ রির্পোটার এইচএম আলাউদ্দিন, খুলনা প্রেস ক্লাবের সহকারী সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না, খুলনা রিপোর্টারস্ ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার মুহাম্মদ নুরুজ্জামান, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির সদস্য বিমল সাহা, খুলনা ক্রাইম রিপোর্টার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ দেওয়ান, এসএ টিভির রকিবুল ইসলাম মতি।
সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান, এ্যাডভোকেট ড. মোঃ জাকির হোসেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেসকাবের সভাপতি এসএম হাবিব, কোষাধ্যক্ষ রফিউল আলম টুটুল, কেইউজে’র সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, এনটিভির খুলনা বিভাগীয় প্রধান আবু তৈয়ব, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়শন খুলনার সভাপতি বাপ্পী খান, দৈনিক সময়ের খবরের বার্তা সম্পাদক মাসুদুর রহমান রানা, দৈনিক ইত্তেফাকের খুলনা ব্যুরো প্রধান এনামুল হক, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের খুলনা ব্যুরো প্রধান শামসুজ্জামান শাহীন, রিপোর্টার মাকসুদ আলী, খুলনা প্রেসকাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও বাংলাট্রিবিউনের খুলনা প্রতিনিধি হেদায়েত হোসেন মোল্যা, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শেখ আল এহসান ও খুলনা প্রতিনিধি উত্তম কুমার, দৈনিক গ্রামের কাগজের খুলনা ব্যুরো কাজী শামীম আহমেদ, দৈনিক আজকের তথ্যের বার্তা সম্পাদক আলমগীর হান্নান, দৈনিক যুগান্তর খুলনার রিপোর্টার আহমদ মুসা রঞ্জু, সময়ের খবরের আশরাফুল ইসলাম নূর, আব্দুল্লাহ্ আল মামুন রুবেল, মোহাম্মদ মিলন, দৈনিক খুলনাঞ্চলের সিনিয়র রিপোর্টার হারুনুর রশিদ, দৈনিক তথ্যের স্টাফ রিপোটার হাসানুর রহমান তানজীর,দৈনিক অনির্বাণের মাসুম বিল্লাহ্, দৈনিক প্রবাহের আসাফুর রহমান কাজল, মেহেদী হাসান, সাপ্তাহিক কোলাহলের বেল্লাল হোসেন সজল,নাজমুল হাসান ও খুলনাঞ্চলের সিনিয়র ফটোসাংবাদিক কাজী শান্ত।