সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দৈনিক সংবাদের স্থানীয় প্রতিনিধি কামাল হোসেনকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সাংবাদিক কামাল হোসেন বাদি হয়ে ১১ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে পাঁচজনের নামসহ আরও অজ্ঞাতনামা ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের ফয়সাল আহমদ (১৯), আনহারুল ইসলাম (২০), তাহির হোসেন (২০) ও মাসরিদুল ইসলামকে (২৬) আটক করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, কামাল হোসেনকে নির্যাতনকারী উপজেলার যাদুকাটা নদীর তীরের ঘাঘটিয়া গ্রামের মাহমুদ আলী শাহ (৩৮), রইস উদ্দিন (৪০), দ্বীন ইসলাম (৩৫), মুশাহিদ তালুকদার (৪৫) ও মনির উদ্দিন মেম্বার (৫২)। এছাড়াও আরও ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এদিকে সাংবাদিক কামাল হোসেনকে নির্যাতনের প্রতিবাদে ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মানববন্দনে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময় প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার, প্রেসক্লাব সভাপতি, দৈনিক সমকাল ও এটিএন বাংলা প্রতিনিধি পঙ্কজ কান্তি দে, রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি ও মোহনা টিভি প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস, চ্যানেল এস প্রতিনিধি আকরাম উদ্দিন, দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন প্রমুখ।
তাহিরপুর থানার ওসির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই দিপংকর বিশ্বাস এ ঘটনায় চারজনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট জাদুকাটা নদীর ঘাগটিয়া এলাকায় অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলনের ছবি তোলার চেষ্টা করায় সাংবাদিক কামাল হোসেনকে (৩০) গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। পরে তাকে মারধরের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় বিষয়টি।