চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃসুন্দরবন রক্ষায় ৭ দফা সুপারিশ বাস্তবায়ন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি, খুলনা জেলা শাখার পক্ষ থেকে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রূপসা ফেরীঘাট চত্বরে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির জেলা আহ্বায়ক এস এম শাহনওয়াজ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় আরও বক্তৃতা করেন কমিটি, জেলা সদস্য সচিব এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, সিডিপি’র এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, এস এম দেলোয়ার হোসেন, এড. নাসরীন আক্তার মিতা, খুলনা উন্নয়ন আন্দোলনের চেয়ারম্যান শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, সিপিবি’র নগর কমিটির সদস্য নিতাই পাল, যুব ইউনিয়নের জেলা সভাপতি এড. নিত্যানন্দ ঢালী, এম এ সবুর রানা, এম মোস্তফা কামাল, আনোয়ারা পারভীন আক্তার পরী, শিরিনা পারভীন, ফিরোজ আলী, সুজন মজুমদার, শাহজাহান মুরাদ, আব্দুল গনি, মোঃ শাহজাহান শিকদার প্রমুখ। পথসভা শেষে নেতৃবৃন্দ উক্ত এলাকায় সংগঠনের ৭ দফা সুপারিশ সম্বলিত প্রচারপত্র বিলি করেন।
পথসভায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্রমবর্ধমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে সাইক্লোনে সুন্দরবন ঢালের ন্যায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। সিডর-আইলার ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে সুন্দরবন। তার উপর সর্বশেষ সাইক্লোন বুলবুল বিশেষ করে এ বনের উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ধক্ষংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
বক্তারা বলেন প্রাকৃতিক বন প্রাকৃতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিজস্ব অভিযোজন ক্ষমতা দ্বারা তার ক্ষতিপূরণ করতে পারে। কিন্তু মনুষ্য সৃষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা সহজে কাটিয়ে উঠতে পারে না বা দীর্ঘ সময় নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারে না। একদিকে উজানের আন্তর্জাতিক নদীসমূহের অধিকাংশ নদীতে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত-মিয়ানমার বাঁধ দিয়ে মিষ্টি পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করেছে। ফলশ্র“তিতে মিষ্টি ও লবণ পানির আনুপাতিক মিশ্রণে সৃষ্টি হওয়া ম্যানগ্রোভ বনের নদীনালার পানিতে লবণ বেড়ে যাওযায় সুন্দরবন নানামুখী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অন্যদিকে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর নিয়ম ভেঙ্গে সম্পদ আহরণ।
বক্তারা সরকার, সংশ্লিষ্ট দপ্তর, বনের উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী, সংশ্লিষ্ট এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে সুন্দরবন রক্ষায় সচেতন ও ইতিবাচক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।