ম্যাচের ১৬ ওভার পর্যন্ত মনেই হয়নি ব্যাটিং করতে হবে সাকিব আল হাসানকে। কিন্তু দুই আফগানের ঘূর্ণিতে শেষ পর্যন্ত মাঠে নামলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে খুব বেশি রান করতে পারেননি।
রবিবার (১১ এপ্রিল) ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় ম্যাচে সানরাজার্স হায়দ্রাবাদকে ১৮৮ রানের টার্গেট দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ছয় উইকেট হারিয়ে আসে কলকাতার এই রান। ম্যাচের শেষ বলে ভুবনেশ্বরের শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ বলে ৩ রান।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন নিতিশ রানা ও শুভমান গিল। বিশেষ করে রানার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫০ রান। তবে বোলিংয়ে এসেই উইকেট ভাঙেন রশিদ খান। স্লোয়ার গুগলিতে গিলকে বোকা বানা এই রিস্ট স্পিনার।
গিল সাজঘরে ফিরলেও ব্যাট চালিয়ে যান রানা। তার সাথে যোগ দেন ফ্লোটার হিসেবে খেলতে নামা রাহুল ত্রিপাঠি। চার, পাঁচ ও ছয় নম্বরে দিনেশ কার্তিক, আন্দ্রে রাসেল, ইয়ন মরগান থাকায় তাকে পিঞ্চ হিটারের ভূমিকায় পাঠানো হয়। সে দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করেন এই ডানহাতি। ২৯ বলে ১৮২ স্ট্রাইকরেটে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৩ রান। ইনিংসে ছিল পাঁচ চার দুই ছক্কা।
অন্যদিকে ওপেনিংয়ে অষ্টম ইনিংসে মাঠে নেমে ৫৬ বলে ৮০ রান করেন নিতিশ রানা। তার গোছানো ইনিংসে ছিল নয় চার ও চার ছক্কা। এই বাঁহাতির ব্যাটিংয়েই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৬ ওভারে ১৫০ রান তোলে কেকেআর।
শেষ দিকে যখনই ঝড় তোলার সময় হলো তখনই লাগাম টানে হায়দ্রাবাদ। রশিদ খান মো. নবি দুই ওভারেই ফেরান রাসেল, নিতিশ রানা ও মরগানকে। তবে শেষ ওভারে ১৬ রান এনে সাকিবদের স্বস্তি দেন দিনেশ কার্তিক।
চেন্নাইয়ের চিপুকে প্রথম ইনিংসে গড় রান ১৬৪। যার চেয়ে অনেক বেশি করেছে কলকাতা। তবে মাঠে হালকা কুয়াশা থাকায় ব্যাটসম্যানরা পেতে পারেন সহায়তা।