চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবঙ্গোপসাগরের গহীনে মাছ ধরার সময় বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ‘এফবি আরিফুল ইসলাম’ নামের একটি ফিশিং ট্রলারে বজ্রপাতে পাঁচ জেলে আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের দুবলারচর থেকে প্রায় ৪৫ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
উত্তাল সাগর থেকে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ট্রলার চালিয়ে আহত জেলেদের নিয়ে রবিবার দুপুরে ট্রলারটি শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা মৎস্য বন্দরে এসে পৌঁছায়।
আহত জেলেরা হলেন, ট্রলার মালিক মো. আলামিন ঘরামী (৩৫), মো রতন (৪০), বাদল খান (৩২), রিয়াজ (৩৫) ও মো. মিঠু (২৫)। আহতদের শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবার বাড়ী বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায়।
এফবি আরিফুল ইসলাম নামের এই ফিশিং ট্রলারটির চালক মো. আসাদ খান জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শরণখোলার রায়েন্দা মৎস্য বন্দর থেকে তারা ১৭ জন জেলে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আহরণ করতে যান। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে তার সাগর থেকে জাল তুলছিলেন। এমন সময় তাদের ট্রলারে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ জেলের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। বজ্রপতে ট্রলারটির ব্যাটারিসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও মালামাল পুড়ে যায়। এসময় তিনি আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলার চালিয়ে শরণখোলার রায়েন্দা মৎস্য বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। উত্তাল সাগর থেকে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ট্রলার চালিয়ে আহত জেলেদের নিয়ে রবিবার দুপুরে ট্রলারটি শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা মৎস্য বন্দরে এসে পৌঁছে আহত জেলেদের হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বাগেরহাট জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, দুর্গম সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে আনেক সময় জেলেরা অসুস্থ হয় এবং দুর্যোগের কবলে পড়ে আহত হয়। এদেরকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য সুন্দরবন সংলগ্ন সাগর মোহনার দুবলারচর অথবা কচিখালীতে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।