সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সাতক্ষীরার সাপমারা খাল দখল করে নির্মানাধীন অবৈধ স্থাপনা ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বন্ধ! | চ্যানেল খুলনা

চ্যানেল খুলনায় সংবাদ প্রকাশে

সাতক্ষীরার সাপমারা খাল দখল করে নির্মানাধীন অবৈধ স্থাপনা ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বন্ধ!

সাতক্ষীরার দেবহাটার সাপমারা খালপাড়ে জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার নাম ভাঙিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের সংবাদ চ্যানেল খুলনায় প্রকাশের পর, সেসব অবৈধ স্থাপনার নির্মানকাজ বন্ধ করে দিয়েছে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার।
সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার সরেজমিনে সাপমারা খালের দুপাশে পরিদর্শন শেষে প্রভাবশালী ভুমিদস্যু আব্দুল আজিজ ও আইয়ুব হোসেনসহ বেশ কয়েকজনের নির্মানাধীন অবৈধ স্থাপনার নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন।
এরআগে সাম্প্রতিক সময়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীনের বদলী ও নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তারের যোগদানের মধ্যবর্তী সময়কে সুযোগ বুঝে কাজে লাগিয়ে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার নাম ব্যবহার করে সাপমারা খালের দুপাড়ের উচ্ছেদকৃত সরকারী জমিতে বেজ ঢালাই দিয়ে কংক্রিটের অবৈধ স্থাপনা নির্মানের কাজ শুরু করে সখিপুরের সাবেক চেয়ারম্যান সালামতুল্যা গাজীর ছেলে আব্দুল আজিজ ও পারুলিয়ার ওহাব ডাক্তারের ছেলে আইয়ুব হোসেনসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী।
সেসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পারুলিয়া-সখিপুর মুল ব্রীজের দক্ষিন পাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মানকারী প্রভাবশালী আব্দুল আজিজ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ওই শীর্ষ নেতা এখন থেকে নিয়মিত পারুলিয়াতে বসবাস করবেন। পারুলিয়া-সখিপুরে বসার জন্য নেতার একটি নির্দিষ্ট জায়গা দরকার, তাই তিনি ওই নেতার জন্য সাপমারা খালপাড়ে বেজ ঢালাই দিয়ে কংক্রিটের অফিস বানাচ্ছেন।
অন্যদিকে সখিপুর বাজার ব্রীজের উত্তর পাশে অপর অবৈধ স্থাপনা নির্মানকারী ওহাব ডাক্তারের ছেলে আইয়ুব হোসেন বলেন, নির্মানাধীন অবৈধ স্থাপনাটি স্বয়ং জেলা আওয়ামী লীগের ওই শীর্ষ নেতাই নির্মান করছেন, তিনি কেবলমাত্র নির্মান কাজ দেখাশুনা করছেন।
অভিযুক্ত অবৈধ স্থাপনা নির্মানকারীদের দেয়া এমন তথ্যের পর বিষয়টি সম্পর্কে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাপমারা খালের উচ্ছেদকৃত সরকারি জমিতে আমি কাউকে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের অনুমতি দেইনি। যারা অবৈধ স্থাপনা নির্মান করছে তারা তাদের সুবিধার্থে আমার নামকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আমি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির দেয়া এমন সুস্পষ্ট বক্তব্যের পর রবিবার জাতীয় ও স্থানীয় একাধিক পত্রিকা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাপমারা খালপাড়ে প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা নির্মানের হিড়িক পড়েছে উল্লেখ করে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর দেবহাটা জুড়ে শুরু হয় ব্যাপক তোলপাড়। একদিকে নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন, আর অন্যদিকে অপকর্ম আড়াল করে বহাল তবিয়তে নির্মানের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সাংবাদিক ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে দৌড়ঝাপ শুরু করে অবৈধ স্থপনা নির্মানকারী ভুমিদস্যু আব্দুল আজিজ, আইয়ুব হোসেনসহ তাদের সহযোগীরা।
সবশেষে বুধবার ঘটনাস্থলে পৌছে এসকল অবৈধ স্থাপনার নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের শুরুর দিকে দফায় দফায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সাপমারা খালের দুপাড়ের অগনিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং সরকারী ১৯ কোটি টাকা ব্যায়ে নদী খনন পর্যায়ে খালটির পুনঃখনন কার্যক্রম শেষ করে।

https://channelkhulna.tv/

সাতক্ষীরা আরও সংবাদ

তালায় তিন যুগ ধরে পথচারীদের মাঝে পানি তৃষ্ণা দূর করে আসছেন দেবনাথ পরিবার

তালায় অপরিপক্ক আম জব্দ : ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা

তালায় সাংবাদিকদের সাথে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবলুর রশিদের মতবিনিময়

তালায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক অবহিতকরণ সভা

তালায় ৬০ বছর ধরে অবৈধ দখলে থাকা ৩৩ বিঘা সরকারি জমি উদ্ধার

তালা উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে ৭ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
উপদেষ্টা সম্পাদক: এস এম নুর হাসান জনি
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: শেখ মশিউর রহমান
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
ঢাকা অফিসঃ ৬৬৪/এ, খিলগাও, ঢাকা-১২১৯।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্তির জন্য আবেদিত।