দালাল চক্রের সাহায্যে অবৈধ ভাবে ভারতের প্রবেশর প্রস্তুতি কালে পাসপোর্টবিহীন ২২ জন বাংলাদেশীকে আটক করেছে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। এসময় পাচারকারী চক্রের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পাচারকারী চক্রের সহযোগী ভ্যানচালক মোখলেছুরের স্ত্রী নাসিমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সাতক্ষীরার বাশদহ ইউনিয়নের কুলিয়াডাঙ্গা গামেরর মোখলেছুর রহমানের বাড়ি থেকে ঐ ২২ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ১০জন পুরুষ, ১০জন প্রাপ্ত সয়স্ক নারী ও দুইজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু কন্যা। যাদের মধ্যে লড়াইল জেলার ১৫জন, খুলনার ৩জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২জন, রংপুরের ১জন ও মুন্সিগজ্ঞ জেলার ১জন বাসিন্দা।
আটককৃতরা জানান, তারা কাজের জন্য ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এখানে এসেছে। টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে পার করে দিবে বলে গত মঙ্গলবার তাদেরকে সাতক্ষীরা বাশদহ ইউনিয়নের কুলিয়াডাঙ্গার মোখলেছুরের বাড়িতে নিয়ে আসে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নিয়ে গত বুধবার ভোর রাতে ভারতে প্রওবশের কথা থাকলেও সুযোগ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে তলুইগাছা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পার করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পার হওয়ার পূর্বেই পুলিশ এসে তাদেরকে আটক করে।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃত মোখলেছুরের স্ত্রী নাছিমা বেগম জানান, তার স্বামী মোখলেছুর একজন ভ্যান চালক। তিনি এই দালাল চক্রের সাথে জড়িত নয়। তার স্বামী শুধু মাত্র যাত্রী বহন করে। তাদের বাড়িতে এই ২২ জন কেন অবস্থান করছে এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিমা বেগম বলেন, সাতক্ষীরা কলারোয়া কেড়াগাছির আব্দুল হামিদের পুত্র আনারুল ইসলাম ও একই গ্রামের কাশেম সরদারের পুত্র কাজিরুল ইসলাম এবং বাশদহ ইউনিয়নের তলুইগাছা গ্রামের বাবলু এই ২২জনকে তাদের বাড়িতে রেখে গেছে। তাদেরকে খাওয়া বাবদ ৫০টাকা করে দেয় দালালেরা। এর বাইরে আর কিছু জানেন না তিনি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামন বলেন, সাতক্ষীরা বাশদহ ইউনিয়নের কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোখলেছুরের বাড়িতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কিছু লোকজন অবৈধ্য ভাবে ভারতে প্রবেশ করবে বলে অবস্থান করছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি ও সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) বুরহান উদ্দীন ঘটন স্থলে এসে দেখেন মোখলেছুরের বাড়িতে একটি ঘরে ১০ জন পুরুষ ও আর একটি ঘরে ১২ জন মেয়ে অবস্থান করছে। যার মধ্যে ২টি শিশু কণ্য ও আছে। পরে তাদের কে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সকলে স্বীকার করেন তার কেউ ১০ হাজার, কেউ ১৭ হাজার কেউ বা ১৮ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতে প্রবেশ করবে বলে এখানে এসেছে। তবে তারা কেউ দালাল চক্রের সদস্যদের চেনেন না। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে এসেছে। পরে তাদেরকে আটক করে সদর থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের সকলের অভিভাবকদের কে খবর দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় উক্ত বাড়ির মালিক মোখলেছুরের স্ত্রী নাসিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।