সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃসাতক্ষীরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই দুর্নীতির মাধ্যমে আনসার বাহিনীর বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে যারা এসব পদে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চাকরি করে আসছিলেন তারা যেমন বাদ পড়েছেন, তেমনি তাদের স্থলে নতুন লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে উৎকোচের বিনিময়ে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন জনৈক মো. আরিজুল ইসলাম, মো. আবুল খায়ের ও খাদিজা খাতুন। তারা বলেন, সরকার আনসার সদস্যদের ভাতা দেয়া শুরু করলে জেলা কমান্ড্যান্ট কেএম মনিরুল ইসলাম তাদের সবাইকে ডেকে পাঠান। এ সময় তিনি ও উপজেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মনোয়ারা খাতুন তাদের কাছে লিখিত আবেদন চান। সংবাদ সম্মেলনে কলারোয়া উপজেলা আনসার সহকারি প্লাটুন কমান্ডার খাদিজা খাতুন বলেন, ‘আমরা সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। এ সময় আমাদের কাছে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন জেলা কমান্ড্যান্ট’। তবে তারা ১৭ হাজার টাকা দিলেও তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। যাদের কাছ থেকে বেশি ঘুষ পেয়েছেন তাদেরকে চাকুরি দেয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। তারা জানান, ঘুষের বাকি টাকা দিতে না পারায় কলারোয়ার সাবেক প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মনোয়ারা খাতুন ও চন্দনপুরের দল নেতা আবদুর রহমানের সাথে যোগসাজশ করে জেলা কমান্ড্যান্ট অন্যদের চাকুরি দিয়েছেন। ওমর আলী ও হোসেন আলীর বয়স কম দেখিয়ে তাদের চাকুরি দেয়া হয়েছে। প্লাটুনে নাম না থাকা সফিকুল ইসলামকে ঘুষের বিনিময়ে চাকুরি দেয়া হয়েছে। খাদিজা খাতুনের জায়গায় কলয়া ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের আলীম হোসেনের কন্যা চম্পা খাতুনকে ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একইভাবে সদর উপজেলার বাঁশদহার অজেদ আলী, আশাশুনির জালালউদ্দিন, শ্যামনগরের আবদুল গফফারসহ জেলার সাত উপজেলার অনেক কমান্ডারকে কোনো কাগজপত্র কিংবা নোটিশ ছাড়াই চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, দালাল আবদুর রহমান, প্রশিক্ষিকা মনোয়ারা খাতুন এবং জেলা পর্যায়ের কমান্ড্যাান্ট কে এম মনিরুল ইসলাম পরস্পরের যোগসাজশে এই দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। একমাত্র সম্বল আনসারের এই চাকুরি হারিয়ে তারা এখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন দাবি করে তাদেরকে চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলায় কর্মরত প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। নিয়ম রক্ষা করেই সবকিছু করা হয়েছে’।