অনলাইন ডেস্কঃ সাতক্ষীরায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। সংকটাপন্ন অবস্থায় গত ২২ জুলাই তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতলে চিকিৎসাধীন আছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর নাম হামিদুল ইসলাম (৩০) তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাবুর আলীর ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ২নং ওয়ার্ডের ৬নং বেডে চিকিৎসাধীন হামিদুল ইসলাম জানান, তিনি ঢাকার মিরপুর এলাকায় একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকুরি করতেন। জ্বর জ্বর ভাব নিয়ে সাতক্ষীরায় এসে ২২ জুলাই তিনি সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎস্যকরা জানিয়েছেন আমি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছি। সেই থেকে হাসপাতালেই আছি। তবে এখন অনেকটা ভাল আছি।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তামিমা হোসেন জানান, উক্ত রোগীর পরিক্ষা নিরিক্ষা শেষে ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বর্তমানে সে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা বর্তমানে ভাল। এছাড়াও অসমর্থিত সূত্র জানায়, আরও কয়েকজন রোগী হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। তবে তাদের কোন পরিচয় বা ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
এদিকে সাতক্ষীরায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়ায় এলাকায় অনেকেই আতঙ্কিত। যে কোন সময় যে কেউ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম জানান, এখুনি সমস্ত নাগরিককে সচেতন করতে হবে। এজন্য প্রথমেই প্রত্যেক স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, এখুনি ডেঙ্গু শুরু হয়েছে তা অতি দ্রুত নির্মূল করতে না পারলে এর প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। ফলে প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব। তা না হলে এর প্রাদুর্ভাব আরও বিস্তর লাভ করতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহীন জানান, ইতোমধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে পত্র পেয়েছি। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এ বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে আমাদের যে সমস্ত কর্মী আছে তাদেরকে নির্দেশ দিয়ে ইতোমধ্যে উপজেলাগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সব ধরণের প্রচারণা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করা, ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করা, বসত বাড়ির আশপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কথা বলা হয়েছে এবং এসব বিষয় বাস্তবায়নে সব জায়গায় কাজ চলছে। তবে এবিষয়ে শহর কেন্দ্রীক পৌর কর্তৃপক্ষের একটা ভূমিকা থাকা উচিত উল্লেখ করে সিভিল সার্জন বলেন, সকলে মিলেই সাতক্ষীরাকে ডেঙ্গু মুক্ত রাখতে হবে।