সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ’র মত্যুতে জেলা, উপজেলা আওয়ামীলীগ, সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষ শোক জ্ঞাপন করেছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় নেয়া হয়েছিল। মুনসুর আহমেদ ১৯৯৬ ও ১৯৯১ এর সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ প্রশাসক। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত টানা ১৯ বছর তিনি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৫ পরবর্তী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় সেনা শাসকের নির্যাতনের মুখে ২২ মাস কারাভোগ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ও রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাক আহম্মেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জগলুল হায়দার, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভাপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক শাহজান আলী, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার নরিম আলী, সাধারণ সম্পাদক ও তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, সম্পাদক সম্পাদক আলিমুর রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।