সাতক্ষীরার দেবহাটায় রপ্তানি যোগ্য চিংড়ির ওজন বাড়াতে অপদ্রব্য পুষ করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামানের ভ্রাম্যমান আদালতে এ শাস্তি প্রদান করে। উক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন উপজেলার টিকেট গ্রামের মৃত কৃষ্ণপদ সরকারের ছেলে শ্যামল সরকার।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে টিকেটের শ্যামল সরকারের বাড়িতে রপ্তানির পূর্বে চিংড়ি মাছে সাবু, জেল জাতীয় দ্রব্য পুষ করে ওজন বাড়ানোর কাজ চলে আসছে। এ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান। অভিযান কালে চিংড়িতে পুষ করার সামগ্রী ও পুষ করা গলদা চিংড়ি মাছ জব্দ হয়। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে আসা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে। পরে চিংড়ি মাছে পুষ করার অপরাধে মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০২০) এর ৩১ এর ১ ধারায় তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। সেই সাথে ওই ব্যক্তি ভবিষতে এমন কাজ করবেন না এই মর্মে অঙ্গিকার করেন ওই ব্যবসায়ী। এদিকে জব্দকৃত ৬৫ কেজি মাছ ও পুষ কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী জনসম্মুখে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে মাটিতে পুতে ফেলা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান জানান, সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম সম্পদ মৎস্য শিল্প। কিন্তু কিছু মানুষ অতি মুনাফার আশায় চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুষ করে আসছেন। এতে এই জেলার মাছের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। চিংড়ির সুনাম ফেরাতে এবং নিরাপদ মাছ রপ্তানির জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশ মোতাবেক দেবহাটার টিকেটে অভিযান পরিচালনা করে রপ্তানি যোগ্য চিংড়ি মাছে পুষ করার অপরাধে শ্যামল নামের এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমান আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। খাদ্যে ভেজাল ও অপদ্রব্য মেশানোর বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শরীফ নেওয়াজ, মেরিন এন্ড ফিসারিজ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন, পারুলিয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন খান, কুলিয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মঞ্জুর ইলাহি, নির্বাহী অফিসারের বেঞ্চ সহকারী সাদেক হোসেন।