চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃসাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে ১৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা লোপাট করা হয়েছে। এ মামলায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের স্টোর কিপার একেএম ফজলুল হককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) তিনি সাতক্ষীরা সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আজ মঙ্গলবার সাতক্ষীরার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে জামিন নিতে আসেন।
জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ১৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতির ঘটনায় নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরা এ আন্দোলন শুরু করে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর এ ঘটনার দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জালালউদ্দিন বাদী হয়ে দুদক খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের পক্ষে সাতক্ষীরার তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান, স্টোর কিপার একেএম ফজলুল হক ও হিসাবরক্ষক আনোয়ার হোসেনসহ নয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- মো. জাহের উদ্দিন সরকার, তার ছেলে মো. আহসান হাবিব, জাহের উদ্দিনের বাবা হাজী আবদুস সাত্তার সরকার এবং তার ভগ্নিপতি মো. আসাদুর রহমান, জাহের উদ্দিন সরকারের নিয়োগকৃত প্রতিনিধি কাজী আবু বকর সিদ্দিক ও এ এইচ এম আব্দুল কুদ্দুস।
এ মামলার আসামি ডা. তৌহিদুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, জাহের উদ্দিন সরকার, হাজী আবদুস সাত্তার, আসাদুর রহমান ও আব্দুল কুদ্দুসসহ ছয়জন নিম্ন আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পর বর্তমানে উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। বাকি দুইজন আহসান হাবিব ও কাজী আবু বকর সিদ্দিক পলাতক রয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দিলু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ মামালার আসামি স্টোর কিপার এ কে এম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপর তিনি আজ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত জামিন নিতে গেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।