খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদ বলেন “ এম.এ বারী ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী রাজনীতিকে যে কয়জন সংগঠক ছিলেন তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। মহান ভাষা আন্দোলনের সময়ও তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। এম.এ বারী স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহত্তর খুলনা-৬ আসনের সংসদ নির্বাচিত হন। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির সনদ ৬ দফা বাস্তবায়নে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার মত নিবেদিত ও সাংগঠনিক নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে গণমানুষের সংগঠনে রুপান্তরিত করেছে। তিনি আরও বলেন তাদের নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করে বর্তমান নেতা কর্মীদের পথ চলতে হবে, তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনো রাজপথে পরাজিত হবে না।” জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ সহচর, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও স¦াধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের বৃহত্তর খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ বারীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদ। শুক্রবার বিকাল ৫ টায় দলীয় কার্যালয়ে এ স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.ডি.এ বাবুল রানা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক এ্যাড সুজিত কুমার অধিকারী, মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীর বরকত আলী, এম.এ বারীর সুযোগ্য পুত্র ও খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এমএ নাসিম। খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মো: আবু হানিফের সভাপতিত্বে এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আজিজুর রহমান রাসেলের পরিচালনায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো: জিলহাজ্ব হাওলাদার, কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক গাজী মোফাজ্জেল হোসেন, মো : জাহাঙ্গীর হোসেন, আবির মালিক, মোঃ হুমায়ুন কবির মিজানুর রহমান মিজান, শরিফুল ইসলাম প্রিন্স, শফিকুল ইসলাম অভি, মো: বুলবুল আহমেদ, আশরাফুল আলম বাবু, ইউসুফ আলী মন্টু, নুর হাসান জনি, তাইজুল ইসলাম তাজু, শেখ রায়হান উদ্দিন, মো : ইসমাইল হোসেন ইমন, নাসির উদ্দিন, সালাহউদ্দিন দুলাল, কামরুজ্জামান ইমরান, মারুফ হোসেন, সরদার আসাদুল ইসলাম সানি, আসিফ সবুজ, মো: দেলোয়ার হোসেন, রাজিব হোসেন, শিহাব উদ্দিন, অরিন্দম গোলদার, আতিকুল ইসলাম সোহাগ, মো: আমিরুল ইসলাম বাবু, রবিউল ইসলাম প্রিন্স, মো : নাঈম দেওয়ান, মারুফ চৌধুরি রিমন, নাঈম ফারহান, শরিফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম কাজল, জসিম খলিফা, কুমারেশ মন্ডল, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, শাহ নূর মোহাম্মদ, আবুল হাসান পলাশ, মিঠুন ঘোষ, শেখ হেলাল বাবু, সুরজিৎ মন্ডল, শেখ মোঃ রাসেল, পিয়াল হাসান, শংকর কুন্ডু, আবিদ আল হাসান, মতি, নাসির, মনিরুল, শেখ রায়হান মুন্না, তানভীর রহমান অপু, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম রুবেল, সোহেল মোড়ল, দিলীপ রায়, আলি আহমেদ আকঞ্জি, শেখ ওয়াসিয়া রহমান, শেখ ইব্রাহিম, মোঃ আনিস, লিটু প্রমুখ। স্মরন সভা শেষে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আজমীরি জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়াও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে তার পরিবারের পক্ষথেকে বাদ জুম্মা নগরীর টিবিক্রস রোডস্থ মসজিদের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।