এক দুইবার নয়, ছয়বার আইসিসির নিয়ম ভেঙেছেন তিনি। এ কারণে তাকে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। বলা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান গোলাম সাব্বিরের কথা।
নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আইসিসির ইন্টেগ্রিটি ইউনিটের মহা ব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, আরব আমিরাতের হয়ে ৪০টি ম্যাচ খেলেছেন সাব্বির। একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে তার কাছ থেকে আরও দায়িত্ববোধের আশা করা হয়েছিল। এছাড়া তিনি সবশেষ তিনটি এন্টি করাপশন সভায়ও উপস্থিত ছিলেন। তিনি আমাদের কাছে কোনো ধরনের তথ্য দেননি। যদিও সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় তিনি আমাদের সঙ্গে কিছু তথ্য বিনিময় করেছিলেন। এখন তাকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। এর মাধ্যমে অন্য খেলোয়াড়রাও একটা বার্তা পাবে।
সাব্বিরও আইসিসির দেওয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন। অর্থাৎ ২০২৫ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত কোনো পর্যায়ের ক্রিকেট খেলতে পারবেন না তিনি।
২০১৯ সালে সাব্বির দুইবার আইসিসির ২.৪.৪ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করেছেন। তখন নেপাল ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার সময় দুর্নীতির প্রস্তাব পেলেও তা আইসিসিকে অবহিত করেননি তিনি। একই সঙ্গে সাব্বির আইসিসির ২.৪.৫ অনুচ্ছেদও ভঙ্গ করেছেন। সতীর্থের কাছ থেকে তখন ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও আইসিসির এন্টি করাপশন ইউনিটকে যথাযথ সহায়তা করেননি তিনি। এ ছাড়া ২.৪.৬ এবং ২.৪.৭ এর ধারাও ভঙ্গ করেছেন সাব্বির। ২.৪.৬ ধারায় তিনি মোবাইল-ফোন দিয়ে আইসিসিকে সহায়তা করেননি। আর ২.৪.৭ ধারায় তিনি আইসিসিকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেননি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাব্বির করেছেন ৭০৮ রান। ৪০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছাড়াও তিনি দেশের হয়ে ৪২টি লিস্ট এ শ্রেণির ম্যাচ ও ১৯টি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন। শেষের দুই ফরম্যাটের মধ্যে লিস্ট এ শ্রেণিতে ১১৬৮ ও টি-টোয়েন্টিতে ২৮১ রান করেছেন তিনি।