বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে আল-জাজিরা টেলিভিশনে সরকার প্রধান ও সেনাপ্রধানকে নিয়ে প্রচারিত প্রতিবেদনে প্রধান চরিত্র সামিউল ইসলাম খান ওরফে সায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরই নজরুল ইসলাম (শামীম) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন আদালত কিশোর, মিনহাজ এবং দিদারুলের জামিনের পূর্বে শর্তে জামিন মঞ্জুর করেন। এদের মধ্যে যারা পলাতক রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গত ১০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফছর আহমেদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এ চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছেন।
চার্জশিটের অন্য আসামিরা হলেন-কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার মো. দিদারুল ইসলাম, সুইডিশ-বাংলাদেশের সাংবাদিক নেত্র নিউজ সম্পাদক তাসনীম খলিল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ব্লগার আশিক মোহাম্মাদ ইমরান ও মো. ওয়াহিদুন্নবী।
অন্যদিকে কারাগারে থাকাবস্থায় লেখক মোস্তাক আহমেদ মারা যাওয়ায় এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমান না পাওয়ায় ও ফেসবুক আইডি ফিলিপ শুমাখার নাম ঠিকানা না পাওযায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৫ মে র্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, মোস্তাক আহমেদ, দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, মিনহাজ মান্নানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্য করতে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তারা রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন মর্মে অভিযোগ আনা হয়।
চার্জশিটে আল-জাজিরা টেলিভিশনে সরকার প্রধান এবং সেনা প্রধানকে নিয়ে প্রচারিত প্রতিবেদনে প্রধান চরিত্র হিসেবে সামিউল ইসলাম খান ওরফে সায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি অব্যাহতি পাওয়া নিয়ে সংবাদপত্রে আলোচনা-সমালোচনা হওয়ায় মামলাটি পরে অধিকতর তদন্তে পাঠানো হয়। অধিকতর তদন্ত শেষে এবার ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হলো।