অনলাইন ডেস্কঃসার্কভুক্ত দেশের মধ্যে চিকিৎসাসেবায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘স্বামী পরিত্যক্তাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছে সরকার, যা উন্নত দেশেও (ইউরোপে) নেই।রোববার (২৮ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের ফেলোশিপ সার্টিফিকেট ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করা ঋতু প্রকল্পের জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষিত সাংবাদিকদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রেড অ্যারেঞ্জ মিডিয়া ও কমিউনিকেশনস।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ উন্নত হয়েছে ঠিকই, তবে জাতি গঠনে আমরা কতটুকু উন্নত সেটা ভাবার বিষয়। এটা ঠিক যে আমাদের রাষ্ট্রের উন্নয়ন হচ্ছে, তবে সমাজের কতটা উন্নয়ন হচ্ছে সে ব্যাপারে আমার নিজেরও কিছুটা সংশয় রয়েছে। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন এখন সমান জরুরি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ভারত পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। পাকিস্তানে ৬৭ বছর, ভারতে ৬৯ এবং বাংলাদেশে ৭৩ বছর। অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা যথেষ্ট ভালো। এ সরকার দেশজুড়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ ধরনের ওষুধ দিয়ে মানুষকে সচেতন করছে।’
মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, জেন্ডার, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ে দেশব্যাপী সচেতনতা ও পলিসি অ্যাডভোকেসি সৃষ্টিতে ঋতুর জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের সাংবাদিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি মানুষ গণমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। এখন এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও।’
হাছান মাহমুদ বলেন, একটা সময় আমাদের দেশে অটিস্টিক শিশুরা ঘরের কোণায় পড়ে থাকতো। তাদের নিয়েও প্রধানমন্ত্রী ও তার কন্যা কাজ শুরু করেছেন। ফলে ওইসব শিশু এখন বেরিয়ে এসেছে। এটা প্রমাণিত হয়েছে, তারা আমাদের সমাজের বোঝা নয়।’
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পড়ি। প্রেস ইনস্টিটিউটকেও (পিআইবি) বলে রেখেছি যারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেন তাদের পুরস্কৃত করতে। তাহলে আমরা অনেক সমস্যা সম্পর্কে জানতে পারব, এগিয়ে যেতে পারব।’
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অর্ণব চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এবং প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর প্রোগ্রামস অ্যান্ড অপরেশনস ইমরুল হাসান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী আ. খ. ম. মহিউল ইসলাম, উপ-সচিব ডা. আবুল হোসেন, যুগ্ম সচিব ডা. আশরাফুন্নেছা ও নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসির ডেপুটি হেড জেরয়েন স্টিগস, প্রতিষ্ঠানটির হেড অব প্রোগ্রাম নকিব রাজিব আহমেদ।