চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের আধুনিক শহরের মতো হবে খুলনা সিটি কর্পোরেশন। পরিবেশ হবে চকচকে ঝকঝকে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে উন্নত বিশ্বের মানুষ খুলনা নগরীকে অনুকরণ করার জন্য ছুটে আসবে। সে আদলেই গড়ে তোলার লক্ষ্যে খুলনায় ৩৩৮ কোটি টাকা প্রি-একনেকে পাস হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দু’মাসের মধ্যে এ প্রকল্প একনেকে যাবে।
কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আঃ আজিজ বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঢাকা প্ল্যানিং কমিশন অফিসে খুলনার ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্ল্যানিং কমিশন অফিসে খুলনার ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য নারগিজ আক্তার। সভায় কেসিসির প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালা, প্রধান প্রকৌশলী এজাজ মোর্শেদ চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আঃ আজিজ, চীফ প্ল্যানিং অফিসার আবির উল জব্বার, সহকারী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (প্ল্যানিং) মনিরুজ্জামানসহ আরও অনেকে।
সভায় আধুনিক খুলনা গড়ে তুলতে নতুন নকশায় নতুন নতুন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ সব পদক্ষেপ গতানুগতিক নয়। এ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে “খুলনার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্প”। ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা। এ প্রকল্প প্রি একনেকে পাস হয়েছে। এখন একনেকে পাস হওয়ার আগে কেসিসির অনেক কাজ রয়েছে। প্রকল্প এখন পাইপলাইনে। কেসিসিকে করতে হবে প্রকল্পের ডিপিপি। ব্যয়ের খাত অনুযায়ী প্রকল্প প্ল্যানিং কমিশনে পাঠানো হবে। সেখান থেকে মন্ত্রণালয়ে পরে একনেকে পাস হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষ সময়ে এ প্রকল্পের কাজ মাঠ পর্যায়ে শুরু হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ কর্মকর্তা। এ প্রকল্পের অধীনে থাকছে প্রতিটি মার্কেটের বর্জ্য নেওয়ার জন্য থাকছে কন্টেইনার বহনকারী গাড়ি, ময়ূর নদ ও আলোচিত ২২ খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং পানি প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য যন্ত্রপাতি, হাউজ টু হাউজ ময়লা কালেকসনের জন্য থাকবে মিনি ড্রাম ট্রাক, থাকছে লং এক্সেভেটর, বর্জ্য অপসারণ, সেপটিক ট্যাংকি পরিষ্কারকরণে থাকবে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি। মানববর্জ্য জ্বালানি তেলে রূপান্তর করতে আধুনিক প্রক্রিয়া, সংগৃহীত ময়লা ডাম্পিং করার জন্য অধিগ্রহণ করা হবে ২৫ একর জমি, গ্যারেজের জন্য ১০ একর, ১৫টি এসটিএস-এর জন্য পাঁচ শতক করে ৭৫ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হবে। মেডিকেল ওয়েস্ট সংগ্রহ এবং তা প্রক্রিয়াজাত করে আয় বর্ধক পণ্যে পরিণত করা হবে।
চীফ প্ল্যানিং অফিসার আবির উল জব্বার বলেন, প্রকল্পের ডিপিপি করার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এখানে অনুমোদনের পর একনেকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তবে আগামী মে/জুন মাস নাগাদ প্রকল্পের কাজ মাঠ পর্যায়ে দেখা যাবে বলে তিনি আশাবাদী। ময়ূর নদের পানি প্রবাহ ঠিক রেখে তা পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা এ প্রকল্পে রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে খুলনা শহরের পরিবেশ হবে বিশ্বের আধুনিক শহরের মতো। আধুনিক শহরের সাথে তুলনা করা হবে তখন খুলনাকে।