পহেলা জানুয়ারি থেকে নিকাব (মুসলিম নারীদের মুখ ঢাকার কাপড়) নিয়ে নতুন আইনের প্রয়োগ শুরু করেছে সুইজারল্যান্ড। পাবলিক প্লেসে নিকাব পরলেই গুনতে হবে এক হাজার ১৪৪ ডলার জরিমানা।
দেশটির ফেডারেল কাউন্সিল এক ঘোষণায় জানিয়েছে, যারা এই আইন ভাঙবেন তাদের অন্তত এক হাজার ১৪৪ ডলার জরিমানা হতে পারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ ৩৭ হাজার টাকার বেশি।
তবে সুইজারল্যান্ডের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিকাব পরা নিষিদ্ধের এ আইন বিমান, কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার এলাকায় কার্যকর হবে না। একইসঙ্গে ধর্মীয় ও পবিত্র স্থানগুলোতেও মুখ ঢাকা যাবে।
এ ছাড়া স্বাস্থ্যজনিত, আবহাওয়াজনিত ও ট্র্যাডিশনাল কারণেও মুখ ঢাকার সুযোগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি শৈল্পিক বা বিনোদন এবং বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে মুখ ঢাকায় কোনো বাধা থাকবে না। ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্যও মুখ ঢাকা যাবে। তবে এজন্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ মুখ ঢেকে রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা পাস করার পক্ষে ভোট দেয়। এরপর দেশটির ন্যাশনাল কাউন্সিল কাউন্সিল ১৫১-২৯ ভোটে আইনটি অনুমোদন করে।
এর আগে ২০২১ সালে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে নিকাবের পরিধানের বিরুদ্ধে রায় দেয় দেশটির জনগণ। এরপরেই দেশটির পার্লামেন্টে নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইন পাস হয়।