খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সুজা ছিলেন একজন সাহসী, দূরদর্শী ও মেধাবী কর্মীবান্ধব রাজনৈতিক নেতা। তাঁর দূরদর্শীতা ও সাহসীকতার কারণে জেলা আওয়ামী লীগ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সুদৃঢ় ছিল। যে কারণে খুলনার ৪টি আসনে আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করে। তাকে ভোট কারচুপির মাধ্যমে পরাজিত করলেও পরবর্তীতে স্বচ্ছ ভোটের মাধ্যমে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। তিনি সংসদ সদস্য ও হুইপ হয়ে এ অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এ উন্নয়নের ছোঁয়া সুদূর কয়রা তথা সুন্দরবনেও লেগেছে। তিনি আরো বলেন, মোস্তফা রশিদী সুজা একজন বন্ধুবৎসল নেতা হিসেবে কর্মীদের সাথে অবাধে কথা বলতেন। তিনি কর্মীদের দু:সময়ে পাশে থেকে খোঁজখবর নিতেন। যে তাঁর বিরোধীতা করেছেন তার বিপদের সময়েও তিনি পাশে দাড়িয়েছেন। যারা আজ সুজার বিরোধীতা করে নামফলক ভেঙে ফেলছেন। তারা সুজার নামফলক ভাঙ্গতে পারেন কিন্তু মানুষের মন থেকে সুজার নাম মুছে ফেলা যাবে না। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সুজার আদর্শ ও ত্যাগকে অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
গতকাল বুধবার বিকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহান জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাচ্চু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মরহুম এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার সন্তান এস এম খালেদিন রশিদী সূকর্ণ, মহানগর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অধ্যা. আশরাফুজ্জামান বাবুল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসনে আরা চম্পা, মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুুক্তিযোদ্ধা মোতালেব হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মো. আবু হানিফ, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, মহানগর যুব মহিলা লীগের সদস্য সচিব আইরিন আক্তার নীপা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জমান রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. পারভেজ হাওলাদার। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য অসিত বরণ বিশ্বাসের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, এ এফ এম মাকসুদুর রহমান, এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বিএম ছালাম, নিমাই চন্দ্র রায়, রফিকুর রহমান রিপন, মো. আবুল কালাম আজাদ, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, ইঞ্জিঃ প্রেম কুমার মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, এ্যাড. নব কুমার চক্রবর্তী, এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান কালু, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, এম এ রিয়াজ কচি, ক্উান্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, রফিকুল ইসলাম লাবু, হালিমা ইসলাম, কাজী শামীম আহসান, শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, মোজাফফর মোল্লা, কামরুল ইসলাম বাবলু, মোখলেসুর রহমান বাবলু, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, সায়েদুজ্জামান সম্্রাট, খায়রুল ইসলাম, অধ্যক্ষ খ. ম সালাম, অধ্যা. রুনু ইকবাল, কাউন্সিলর গাউসুল আজম, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, শিউলি সরোয়ার, সাহিনা আক্তার লিপি, মো. জামিল খান, মো. আজগর বিশ্বাস তারা, এস এম আকিল উদ্দিন, এ্যাড. আব্দুল লতিফ, এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা, এ্যাড. এনামুল হক, শাহিন জামান পন, মানিকুজ্জামান অশোক, নাজনিন নাহার কণা, মীর বরকত আলী, এম এ নাসিম, এম এম আজিজুর রহমান রাসুল, এ বি এম কামরুজ্জামান, মো. ইমরান হোসেন, চ. ম মজিবর রহমান, আব্দুল হাই পলাশ, ফেরদৌস হোসেন লাবু, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, মো. সিহাব উদ্দিন, চৌধুরী রায়হান ফরিদ, নূরিনা রহমান বিউটি, নুর জাহান রুমি, খান সাইফুল ইসলাম, আফরোজা জেসমিন বিথী, রেখা খানম, নাছরিন ইসলাম তন্দ্রা, মাহফুজুর রহমান সোহাগ, গোলাম হায়দার বুলবুল, মো. শহীদুল হাসান, জব্বার আলী হীরা, মাহমুদুর রহমান রাজেস, সংকর কুন্ডু, ওমর কামালসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
স্মরণসভা শেষে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালন করেন সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ খ ম জাকারিয়া।
নেতৃবৃন্দ এর আগে সকাল ৯টায় নগরীর টুটপাড়া কবরস্থানে মরহুম এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার কবর জিয়ারত ও ১০টায় মরহুমের প্রতিকৃতি মাল্যদান করেন। এছাড়া দিনব্যাপী দলীয় কার্যালয় ও পরিবারের পক্ষ থেকে কোরআন খতম করা হয়।