বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ডাঃ মশিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে বিশ্বখ্যত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। যে সুন্দরবনের জন্য সারা বিশ্বব্যাপী আমাদের সুনাম, সেই সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর এমন কোন শিল্প কারখানার বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র কাউকেই দেয়া হবে না। এ অঞ্চলে যারা শিল্প প্রতিষ্ঠান করবে তাদের চিন্তা তাকতে হবে কোন প্রতিষ্ঠান করলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)-এর বিনিয়োগকারীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এমন কথা বলেন।
সভায় দেশি-বিদেশী ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুসারে পণ্য সরবরাহ করতে তাদের প্রাপ্যতার কোঠা তুলে দিয়ে অবাধ কাঁচামাল আমদানির সুযোগ চান। একই সাথে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, ইপিজেড এর সকল কারখানার এমপ্লয়ারদের যাতায়াত সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে মোংলা নদীর উপর ব্রীজ আর ব্যবসায়ীদের যাতায়াতের জন্য খানজাহান আলী বিমান বন্দর দ্রুত নির্মাণ করার দাবি জানান।
উপদেষ্টা বলেন, সরকার দেশে নিজস্ব অর্থায়নে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। খানজাহান আলী বিমান বন্দর, খুলনা-মোংলা রেলপথ ও পদ্মাসেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকা আরও গতিশীল হবে। তিনি বলেন, সুন্দরবনের ক্ষতি করে সরকার এমন কিছু করবে না। সুন্দরবনকে রক্ষা করেই সবকিছু করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং কঠোর পরিশ্রম করে সফলভাবে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্ত অবস্থানে রয়েছে। দেশের রপ্তানি, রিজার্ভ, রেমিটেন্সসহ সকল অর্থনৈতিক সূচকই উর্ধ্বমুখী। জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেপজা সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) ও অতিরিক্ত সচিব মোঃ জিল্লুর রহমান, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ, কাস্টমস কমিশনার (মোংলা কাস্টমস হাউস) সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস। ইপিজেডের বিষয়ে তথ্যপত্র উপস্থাপন করেন ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইপিজেড’র উপ-ব্যবস্থাপক মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোংলা উজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নানসহ মোংলা ইপিজেডের ৩১ জন দেশি বিদেশী বিনিয়োগকারী।
এর আগে উপদেষ্টা ইপিজেড চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণ করেন। বিকালে তিনি মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন।