সুন্দরবনে জলদস্যু, বনদস্যুদের বিষয়ে বাগেরহাট জেলা পুলিশের অবস্থান কঠোর এবং অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা তাকে আইনের আওতায় আনা হবে যেকোনো মূল্যে। যারা জলদস্যু,বনদস্যুর সাথে জড়িত বা এই ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত এবং যে কয়েকজন ভুল পথে পা বাড়িয়েছে তাদের জন্য আমার দ্বার খোলা। তারা যদি সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করতে চায়, সঠিক পথে আসতে চায় তাদেরকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। তাদের পরিবারের কেউ যোগ্য থাকলে তাকেও চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার দুপুর সোয়া ১টায় মোংলার দিগরাজ বাজারে সুন্দরবনের মৎস্য, কাঁকড়া শিকারী, জেলে ও আত্মসমর্পণকৃত দস্যুদের সাথে আইনশৃঙ্খলা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার কে,এম আরিফুল হক এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আত্মসমর্পণকৃত সাবেক দস্যুদের মধ্যে কেউ কেউ আবার সেই সাথে নতুন কেউ কেউ পুনরায় সুন্দরবনে দস্যুরা অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। তাদের জন্য পরিস্কার ম্যাসেজ হলো অপরাধী যেই হোক না কেন কেউকে কোন ছাড় দেয়া হবেনা, যে কোন মূল্যে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আর যার পরিণতিও হবে ভয়াবহ। সুতরাং নতুন করে অপরাধে না জড়িয়ে আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসনের সুযোগ গ্রহণের আহবাণ জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় বন নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী তাদের বক্তৃতায় বনবিভাগের হয়রানী, চাঁদাবাজী ও নৈরাজ্যের কথা তুলে ধরলে তা বনবিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে নিরসনের আশ্বাস দেন জেলা পুলিশ সুপার কে, এম আরিফুল হক।
মতবিনিময় সভায় মোংলা ও রামপাল উপজেলার জেলে সম্প্রদায় এবং আত্মসমর্পণকৃত সাবেক দস্যু পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আসাদুজ্জামান, মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান, মোংলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আসিফ ইকবাল, রাপমাল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা।
মতবিনিময় সভা শেষে সুন্দরবন নির্ভরশীল জেলে ও আত্মসমর্পণকৃত দস্যু পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন জেলা পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য অতিথিরা।