চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ আর ২৬ দিন পরেই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ড ও এশিয়ান কাপ চ্যালেঞ্জ। মাঝে ভেন্যু জটিলতায় অস্থিরতা বিরাজ করার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে আফগানিস্তান ভেন্যু। তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবের সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে শুরু হবে জামাল ভূঁইয়াদের ফুটবল মিশন।
এই মাঠটা অপয়া হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের কাছে। এই মাঠেই তাজিকিস্তানের কাছে ভরাডুবি হয়েছিল এমিলিরা। সেই মাঠেই আগামী মাসের ১০ তারিখে আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ খেলবে জেমি ডের শিষ্যরা।
ভেন্যু জটিলতা হওয়ার কারণ আছে। আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু নিয়ে অস্থিরতা ছিল। কেননা দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে উদ্বিগ্ন ফিফা ও এএফসিও। তাই গেল বিশ্বকাপেও তাদের হোম ভেন্যু ছিল ইরান। এবার প্রথমদিকে কাতারের রাজধানী দোহায় হোম ভেন্যু করার চেষ্টার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়েও ভেন্যু করতে চেয়েছিল আফগানরা। পরে সেটি ভেস্তে গেলে নতুন ভেন্যু হিসেবে চূড়ান্ত হয়ে তাজিকিস্তানের সেন্ট্রাল স্টেডিয়াম।
আর এই ভেন্যুটাই যেন অপয়া বাংলাদেশের জন্য। অপয়া বলতে যে দুটি ম্যাচ বাংলাদেশ এখানে খেলেছে সেই দুটি ম্যাচে মোট ১০ গোল হজম করেছিল এমিলিরা। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ৫ টি করে গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ছিল তাজিকিস্তান। এবার আফগানদের বিপক্ষে এই মাঠেই শুরু করতে হবে দেশের ফুটবল মিশন।
আফগানদের জন্য এই মাঠটা পয়াই বলতে হবে। কেননা শেষ দুটি ম্যাচে সুখ:স্মৃতি নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল আফগানিস্তান। এশিয়ান কাপে কম্বোডিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল আফগানরা। সঙ্গে শক্তিশালী জর্ডানকে ৩-৩ ব্যবধানে ড্রয়ে স্বাদ দেয় তারা।
এই মাঠেই ১০ সেপ্টেম্বর লাল-সবুজরা শুরু করবে তাদের ফুটবল মিশন। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ক্যাম্প শুরু করবে জেমি ডের শিষ্যরা। সম্ভাব্য কাতারে আবাসিক ক্যাম্প করে তাজিকিস্তানের উদ্দেশ্যে সেই দেশ থেকেই রওনা দিবে বাংলাদেশ ফুটবল দল।