ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করে এখন চট্টগ্রামে গেছেন তামিম বাহিনী। উদ্দেশ্য সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করা।
দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও সেই সুসংবাদের অপেক্ষায়। কারণ প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে মোস্তাফিজ, সাকিব আর মিরাজের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ক্যারিবীয়রা।
গত দুই ম্যাচে দেড়শ রানও ছুঁতে পারেনি জেসন মোহাম্মদের দল। তাই হোয়াইটওয়াশের আশা করা বাড়তি কোনো চাওয়া নয় অবশ্যই।
তবে এমন ম্যাচ সামনে রেখে ১০ বছর আগের স্মৃতিতে নস্টালজিক হয়েছেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
২০১১ সালে বাংলাদেশ সফরে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই হোম সিরিজটি হেরে গেলেও চট্টগ্রামে তৃতীয় ওয়ানডেতে বড় রকমের প্রতিশোধ নিয়েছিল বাংলাদেশ।
ওই ম্যাচের সাত মাস আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হন টাইগাররা। মাত্র ৫৮ রানে গুটিয়ে গিয়ে বিশ্বক্রিকেটে লজ্জার ইতিহাস লেখে বাংলাদেশ।
তবে বছর শেষ না হতেই পাল্টা জবাব দেন সাকিব-মুশফিকরা। ২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে মধুর প্রতিশোধ নেয় বাংলাদেশ।
সে ম্যাচে উইন্ডিজদের ৬১ রানে অলআউটি করে দেন টাইগাররা, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরে হার। ২০০৪ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৪ রানে অলআউট হয়েছিলেন ক্যারিবীয়রা।
২০১১ সালের ওই ম্যাচে ৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৬ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন অলরাউন্ডার সাকিব। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ওয়ানডেতে সাকিবের সেরা বোলিং ছিল এটিই।
ম্যাচে পর পর ২ বলে কাইরান পাওয়েল ও কাইরন পোলার্ডকে ফিরিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে ৬২ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছিল ৮ উইকেট ও ১৮০ বল হাতে রেখেই। ওই ম্যাচে ম্যাচসেরাও হয়েছিলেন সাকিব।
স্মরণীয় সেই ম্যাচটির ভাবনায় ডুবে ক্রিকেটপ্রেমীরা আশা করছেন, আগামী ২৫ জানুয়ারি সেই একই ভেন্যু চট্টগ্রামে ‘৬১’-এর ইতিহাস ফেরাতে পারবে বাংলাদেশ? ১০ বছর আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবেন সাকিব?