ইথিওপিয়ার তিগ্রে অঞ্চলের এক নারীকে ধরে নিয়ে যায় দেশটির সেনা সদস্যরা। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তেকিজ নামের একটি নদীর কাছে। সেখানে তাকে একটি ভয়ানক বিষয় বেছে নিতে বলা হয়। মৃত্যু অথবা ধর্ষণের শিকার হওয়ার মতো দু’টি অপশন দেওয়া হয়।
২৫ বছর বয়সী ওই তরুণী বলেন, ‘সে (সেনা সদস্য) আমাকে বলে, তোকে খুন করবো, নাকি ধর্ষণ করব- তুই ঠিক কর’। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটা জানান ওই তরুণী। শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে তিগ্রে থেকে পালিয়ে সুদানের হামদায়েত এলাকার একটি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন ওই তরুণী। তেওয়াদ্রোস তেফেরা লিমুহ রয়টার্সকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তিনি গর্ভধারণ ও যৌন সংক্রমণ ঠেকাতে ওই তরুণীকে ওষুধ দিয়েছেন। তাকে একজন সাইকোথেরাপিস্টের কাছে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা পরামর্শও দিয়েছেন।
তেওয়াদ্রোস তেফেরা লিমুহ সুদান রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক। তিনি বলেন, ‘ ওই সৈনিক তার (তরুণীর) দিকে বন্দুক তাক করে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের আগে ওই নারী তাকে (সৈনিক) জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তার (সৈনিকের) কাছে কনডম রয়েছে কি না। উত্তরে ওই সৈনিক তাকে (তরুণীকে) বলে, আমার কনডম লাগবে কেন?’ ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী এমনটাই জানান তেওয়াদ্রোস তেফেরা লিমুহকে।
তিগ্রে অঞ্চলের ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে রয়টার্সের কাছে কোনো মন্তব্য করেনি ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদের সরকার ও দেশটির সেনাবাহিনী। এর আগে দেশটির সরকার ওই অঞ্চলের মানুষের অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি অস্বীকার করে।
শুধু ওই ২৫ বছরের তরুণীই নয়। এমন ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে দেশটির তিগ্রে অঞ্চলে। আন্তর্জাতিক ও ইথিওপীয়দের সহায়তার জন্য গঠিত এইড গ্রুপের কয়েকজন কর্মী এই তথ্য রয়টার্সকে জানিয়েছেন। জাতিসংঘ চলতি সপ্তাহে ওই অঞ্চলে যৌন নির্যাতন বন্ধের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।