দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউনের কারণে আগামী ৫ এপ্রিল (সোমবার) সকাল ছয়টা থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ থাকবে। তবে পণ্যবাহী নৌযান চালু থাকবে।
শনিবার (৩ এপ্রিল) এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
শনিবার (৪ এপ্রিল) সকালে বেইলি রোডের বাসা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন লকডাউনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে শুরুতে সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে লকডাউনের খবর জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের বাইরে শুধুমাত্র শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। শ্রমিকেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিফট অনুযায়ী কাজ করবেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবা দেয় যেমন অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি যানবাহন চলবে। খাদ্যবাহী ট্রেন ও খাদ্যবাদী যানও চলবে। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন করা হবে। সেখানে সব বিষয়ে বিস্তারিত বলা হবে।
মন্ত্রীর এই ভিডিও বার্তা দেশের গণমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে লকডাউন কার্যকর করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। যেমন ৫ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন, নৌযান ও অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল পরবর্তী ৭ দিন বন্ধ থাকছে।
এছাড়া লকডাউন কার্যকরে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সদর দপ্তর থেকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) তাদের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে রবিবার ঊর্ধ্বতনদের নিয়ে সভাও ডেকেছে।
এরপর শনিবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, শনিবারই লকডাউন সংক্রান্ত ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়ার পর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।