স্কুল বন্ধ থাকলেও পিছিয়ে নেই খুদে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা। শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকদের সদিচ্ছা, আন্তরিকতা ও ভালোবাসার ফলেই করোনাকালের সকল সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। অনলাইনে অথবা মোবাইল ফোনে শিক্ষকদের দিক নির্দেশনায় ঘরে বসে শিক্ষার্থীরা ভালো পড়াশোনা করছে। প্রত্যন্ত এলাকার দুর্বল শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই।
খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের আয়োজনে ডুমুরিয়া উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের (একাংশ) সাথে আজ (রবিবার) সকালে অনলাইন মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এসকল কথা বলেন। অনলাইন জুম প্রযুক্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ সভায় সরকারি কর্মকর্তা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ৪৮১ জন অংশগ্রহণ করেন। করোনকালে শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর এই সভার আয়োজন করে।
সভায় জানানো হয়, করোনাভাইরাসে প্রাদুর্ভাবকালীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত কার্যক্রমে অংশ হিসেবে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে পাঠ পর্যালোচনা, ইউটিউব-সংসদ টিভি-বেতারের এফএম সম্প্রচারের মাধ্যমে পাঠদান, ওয়ান-ডে ওয়ান ওয়ার্ড কার্যক্রম চলমান আছে। শিক্ষকরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়া দিচ্ছেন ও পাঠের অগ্রগতি যাচাই করছেন। ডুমুরিয়া উপজেলার অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এসময় মোবাইল ফোনে ৪২ বারের বেশি কল করা হয়েছে এবং সকল কার্যক্রম রেজিস্ট্রারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যে সকল শিক্ষার্থীদের কাছে মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তাদের বাড়িতে গিয়ে পাঠ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় সকল শিক্ষার্থীকে যোগাযোগের আওতায় আনা ও অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন অংশগ্রহণকারীরা। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও মনোবল ধরে রাখতে গান, কবিতা, ছড়াসহ সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে সভায় শিক্ষকদের নির্দেশনা দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এএসএম সিরাজুদ্দোহার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম। খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসে উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডুমুরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিএম আলমগীর কবির প্রমুখ এ অনলাইন মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।