এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মূল্যায়ন ফলের পর এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির তোড়জোর চলছে। এসএসসি, এইচএসসিতে নির্দিষ্ট স্কোর থাকা সত্ত্বেও ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ নাও পেতে পারেন অনেক শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, ভর্তি যুদ্ধে নামার আগেই বাদ পড়তে পারেন ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী। প্রাথমিকভাবে এইচএসসির মানবিক বিভাগ থেকে পাস করা পাঁচ লাখের মতো শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। আর আলিম থেকে পাস ৫০ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষার্থী আবেদনের যোগ্য হবেন । সব মিলিয়ে সাড়ে ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী মানবিক ইউনিটে ভর্তির আবেদন করতে পারলেও দুই লাখ শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফলে যোগ্যতা থাকা স্বত্ত্বেও সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ছাড়াই অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া, এবার ৯টি শিক্ষাবোর্ডের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে দুই লাখ ৬৮ হাজার ২৪৪ জন্য পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছেন। এর মধ্যে জিপিএ ৩ এর নিচে পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাত হাজার ৫২৬ জন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক আবেদন থেকে যাচাই-বাছাই করা নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রার্থীকেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার যে সুযোগের কথা বলা হচ্ছে, তাতে বিজ্ঞান ইউনিটের শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো সমস্যা হবে না। অপর দুই গুচ্ছ কৃষি ও প্রকৌশলের ৯টিতে ছাড়াও সব মিলিয়ে আরও ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন তারা। তাছাড়া, মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজেও ভর্তি হতে পারবেন তারা।
অন্যদিকে, এবার ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে দুই লাখ ৪৯ হাজার ৪৪৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছেন। এর মধ্যে জিপিএ ৩ এর নিচে পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪২ হাজার ৬৫০ জন। সে হিসেবে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় ইউনিটে প্রাথমিকভাবে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পাস করা দুই লাখের মতো শিক্ষার্থী। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক বাছাইয়ে খুব অল্প সংখ্যাক শিক্ষার্থী বাদ পড়বেন।
তবে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভর্তিচ্ছুকে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোয় সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা সীমিত। যেভাবে পরীক্ষা নেব আমরা, এতে হয়তো বিজ্ঞান বিভাগেরও সব শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবে না।’