ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মৃনাল কান্তি দাস (৪৫) নামে এক কলেজশিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন।
উপজেলার আলমনগর এলাকায় শুক্রবার রাতের কোনো এক সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
মৃনালের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার মতুরাপুর গ্রামে। তিনি আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া সরকারি মহাবিদ্যালের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আলমনগর এলাকায় ফরিদ খন্দকারের বাড়ির তৃতীয় তলায় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়ায় থাকতেন মৃনাল। শুক্রবার রাতের খাবার শেষে তার স্ত্রী ঘুমাতে যান। এ সময় স্ত্রীর রুমের দরজা বাইরে থেকে আটকিয়ে মৃনাল পাশের রুমে চলে যান।
শনিবার সকালে স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে বাইরে থেকে দরজা আটকানো বুঝতে পেরে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের ফোন করেন। পরে বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে মৃনালকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
মৃনালের আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে সহকর্মীরা জানিয়েছেন, মৃনাল দাম্পত্য জীবনে সুখী ছিলেন না। স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ যুগান্তরকে জানান, আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।