অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূচকে বাংলাদেশে এগিয়ে আছে। ফেব্রুয়ারিতে সিডিপির বৈঠক থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের বিষয়ে ঘোষণা আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।
বুধবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।
জাতিসংঘের একটি সংস্থা হচ্ছে সিডিপি। সংস্থাটি স্বল্পোন্নত দেশকে উন্নত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কাজ করে থাকে।
ব্রিফিংয়ের শুরুতে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ৫টি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬০৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারি ব্যয় ৫৯২ কোটি টাকা এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ১৩ কোটি টাকা।
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়ন দেশে উত্তরণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেছি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। জাতিসংঘের মানদণ্ডে যে সব শর্ত চাওয়া হয়েছে, তার সবই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে আর কোনো সমস্যা হবে না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারত ভ্যাকসিন তৈরি করলে তাদের উৎপাদন খরচ কম হবে। তারা তো আর লাভ ছাড়া বিক্রি করবে না। তাদের যে খরচ হবে, সে দামেই আমরা পাবো, এটা আশা করা ঠিক হবে না।
করোনার ভ্যাকসিন শুধু ভারত থেকেই আনতে হবে- এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যেখানে কমে পাবো, সেখান থেকেই ভ্যাকসিন আনবো। শুধু দু-একটি দেশ নয়, অনেক দেশ ভ্যাকসিন বানাচ্ছে।
ভারতের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বেশি দামে ভ্যাকসিন কিনছে সরকার। এরফলে বাজেটে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দাম বেশি হয়েছে কিনা, আমি এই মুহূর্তে বলতে পারবো না। ভারত যদি তৈরি করে, তাহলে তাদের উৎপাদন খরচতো কম হবেই। তারা যখন বিক্রি করবে অবশ্যই খরচ ও লাভ দুইটাকে একত্র করে তারা বিক্রি করবে। তবে আমরা দেখবো, আন্তর্জাতিক বাজারে ভ্যাকসিনের দাম কত। আমরা কতো দামে পাচ্ছি, সেটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবো। কারণ ভ্যাকসিন একটি দেশ তৈরি করবে না। অনেক দেশ তৈরি করবে। এক দেশ যদি বেশি দাম চায়, তাহলে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করবো। সেই সুযোগ আমাদের রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করেন- ভ্যাকসিনের টাকা জোগাড় করার সক্ষমতা যাদের নেই, তারাও বঞ্চিত হবে না। সরকার তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার খরচ বহন করবে। আপনারা জানেন, এটা একদিনে হবে না। দেশের ১৭ কোটি মানুষকে একদিনে এটি দেওয়া যাবে না। সেজন্য অবশ্যই কিছু ধাপ থাকবে। প্রথম ধাপে কারা পাবেন, দ্বিতীয় ধাপে কারা পাবেন, তৃতীয় ধাপে কারা পাবেন, এভাবে অগ্রাধিকার খাতগুলো চিহ্নিত করে আপাতত ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, দেশের ১৭ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পারবো।