জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সমাবেশ, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ (সোমবার) খুলনায় বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বেতার এবং শান্তি’।
এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা কেন্দ্রের উদ্যোগে সকালে বেতারের সম্মেলনকক্ষে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: সম্প্রচার মাধ্যম হিসেবে বেতারের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্প বিপ্লব শেষ করে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। শিক্ষা থেকে শুরু করে সবকিছুতে একটা পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করার ঘোষণা দিয়েছেন। করোনার সময় প্রধানমন্ত্রী আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জুমের মাধ্যমে প্রশাসনকে কাজ করার নিদের্শনা দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, বেতারের গুরুত্ব আছে এবং আরো বাড়বে। বেতারকে আমরা খাটো করে দেখতে পারি না। বেতার নিজস্ব জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছে। বেতার যে অনুষ্ঠানগুলো তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে, ফেইসবুকে দেখতে ও রেডিওতে শুনতে পারি। সময়ের পরিক্রমায় তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে বেতারের কদর এতটুকুও কমেনি বরং দর্শক শ্রোতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেতারের মাধ্যমেই দুর্গম স্থানের শ্রোতার কাছে তথ্য পৌঁছে দিচ্ছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ বেতার বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ প্রথমে এই বেতারের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। জাতির পিতার এই ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের মানুষকে একত্রিত করেছিলো।
বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন দৌলতপুর সরকারি ব্রজলাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আতিকুজ্জামান ও রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দৈনিক কালের কন্ঠ খুলনার ব্যুরো চীফ গৌরাঙ্গ নন্দী। সেমিনারে খুলনা বেতারের আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক মোঃ নুরুল ইসলাম, আঞ্চলিক প্রকৌশলী তাজুন নিহার আক্তারসহ বেতারের কর্মকর্তা, শিল্পী-কলাকুশলীরা অংশগ্রহণ করে।
সেমিনারে খুলনা বেতারকে কিভাবে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে সেমিনারে অতিথিরা মতামত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে মেয়র দর্শক শ্রোতাদের অংশগ্রহণে কুইজ ও লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন।
এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে দিবসটি উপলক্ষ্যে খুলনা বেতার প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিল্পী, কলাকুশলীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।